Exclusive: ভোট মিটতেই বড় সিদ্ধান্ত রচনার স্বামীর? দিন এগোতেই স্পষ্ট অনেক কিছুই…
Rachna Banerjee: আভাস আগেই পাওয়া গিয়েছিল। শংসাপথ জমা দেওয়া হোক অথবা ভোটের প্রচার-- এই দু'টো মাস যেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত আগলে রেখেছিলেন স্বামী প্রবালকুমার বসু। মাতৃহারা হয়েও পরের দিন অর্থাৎ ভোটের ফলাফলের দিন সকাল থেকেই ছিলেন হুগলির নতুন সাংসদের পাশে।
আভাস আগেই পাওয়া গিয়েছিল। শংসাপথ জমা দেওয়া হোক অথবা ভোটের প্রচার– এই দু’টো মাস যেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত আগলে রেখেছিলেন স্বামী প্রবালকুমার বসু। মাতৃহারা হয়েও পরের দিন অর্থাৎ ভোটের ফলাফলের দিন সকাল থেকেই ছিলেন হুগলির নতুন সাংসদের পাশে। স্ত্রী জিততেই টিভিনাইন বাংলা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করায় উচ্ছ্বাস যেন ঝরে পড়েছিল তাঁর গলায়। অতীতে রচনা নিজেই জানিয়েছিলেন বিচ্ছিন্ন না হলেও একসঙ্গে থাকেন না তাঁরা। ভোট আবহে স্বামীর দায়িত্ব পালনই কি ফের একবার কাছাকাছি আনল তাঁদের? শুরু হল নতুন পথচলা? টিভিনাইন বাংলায় অকপট প্রবাল।
প্রশ্ন করতেই পাল্টা প্রশ্ন তাঁর, বললেন, “একসঙ্গে আছি বা নেই তা কিন্তু আমরা কোনওদিনই বলিনি। আর তা ছাড়া আমাদের ডিভোর্স কোনওদিনই হয়নি। অতীতেও রচনার পাশে দাঁড়িয়েছি। এই সময়ও মনে হয়েছিল পাশে থাকা দরকার।” বলছিলেন, “আসলে কী বলুন তো একটা সময়ের পর সবচেয়ে বেশি যেটা জরুরি তা হল পারস্পরিক সম্মান। সেটা কোথাও গিয়ে আমাদের মধ্যে আছে বলেই হয়তো সব ঠিক আছে আজও।” রচনা এর আগে কোনওদিন রাজনীতির অঙ্গনে পা দেননি। দুই মাসের ওই কঠিন জার্নিতে প্রবালই ছিলেন তাঁর ঢাল? অন্ধের লাঠি? খানিক হেসে প্রবাল বললেন, “যে কোনও মানুষের মধ্যে যদি জানার ইচ্ছে থাকে তবে সে সবার কাছ থেকেই সাজেশন চাইবে সেটাই স্বাভাবিক। রচনার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ঘটেনি।” ছেলে প্রণীলের দায়িত্ব আগেও নিয়েছেন প্রবাল। তাই কো-প্যারেন্টিংয়ের অভ্যেস তাঁর রয়েছে আজও। কিন্তু এক ছাদের নীচে থাকা? এবার থেকে কি দেখা যাবে তাইও? উত্তর যেন দিয়েও দিলেন না প্রবাল। শুধু বললেন, “ওই যে বললাম, আমাদের সম্পর্ক ঠিক কী তা নিয়ে কিন্তু আমরা কেউই কিছু বলিনি। তবে হ্যাঁ, ওর পাশে আছি। এটাই বলতে চাই।”
View this post on Instagram
অতীতে রচনা জিততেই টিভিনাইন বাংলা যোগাযোগ করে প্রবালের সঙ্গে। গলা দিয়ে উচ্ছ্বাস ঝরে পড়ছিল তাঁর। বলছিলেন, ‘ও যা ছোঁয় তাই সোনা হয়। এবারেও তাই হয়েছে।” এ দিন দুপুরে একসঙ্গে খেতেও গিয়েছেন বাবা-মা ছেলে। কে বলেছে ভোট মানে শুধুই হিংসে হানাহানি? কাছের মানুষ চিনিয়ে দেওয়ারও এর চেয়ে আদর্শ সময় আর কীই বা থাকতে পারে? অন্তত রচনা-প্রবালের সম্পর্ক যেন সে প্রমাণই দিল আরও একবার।