Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

২৯শেই বয়সে বড় নায়কদের মায়ের চরিত্রে অভিনয়; অনামিকার শ্বশুর চাননি বউমা জড়াজড়ি করুক পরপুরুষের সঙ্গে

Anamika Saha: প্রসেনজিৎ, চিরঞ্জিত, তাপস, অভিষেক, প্রত্যেক নায়কের মায়ের চরিত্রেই অভিনয় করেছিলেন অনামিকা। এদিকে তাঁর বয়স ছিল অত্যন্ত অল্প। নায়কদের চেয়ে বয়সের ফারাকও বেশি ছিল না। তবুও কেন মায়ের চরিত্রটাই বারংবার বেছে নিয়েছিলেন অনামিকা? একান্ত সাক্ষাৎকারে একবার তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন TV9 বাংলাকে।

২৯শেই বয়সে বড় নায়কদের মায়ের চরিত্রে অভিনয়; অনামিকার শ্বশুর চাননি বউমা জড়াজড়ি করুক পরপুরুষের সঙ্গে
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অনামিকা সাহা।
Follow Us:
| Updated on: Jan 23, 2024 | 2:47 PM

মাত্র ৫৮ বছর বয়সে অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু মনে-মনে ভেঙে দিয়েছিল অভিনেত্রী অনামিকা সাহাকে। বাংলার বাণিজ্যিক ছবিতে তাঁকে বরাবরই নায়কদের মায়ের চরিত্রেই দেখে এসেছেন দর্শক। সেই অর্থে তিনি অভিষেকেরও পর্দার মা। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, তাপস পাল… প্রত্যেকেরই মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অনামিকা। এদিকে তাঁর বয়স কিন্তু তৎকালীন নায়কদের চেয়ে বেশি ছিল না। তবুও কেন মায়ের চরিত্রটাই বারংবার বেছে নিয়েছিলেন অনামিকা? ঘটেছিল বহু মজার ঘটনাও। এর কারণ অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছিলেন TV9 বাংলাকে।

বাংলার ব্লকবাস্টার বাণিজ্যিক ছবি ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’-এ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের শাশুড়ির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অনামিকা। নায়িকা ছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সেই সময় অনামিকার বয়স ছিল ৪৪ (অনামিকার জন্ম ১৯৫৬ সালের ২৬ নভেম্বর) এবং প্রসেনজিতের ছিল ৩৮। অনামিকার চেয়ে মাত্র ৬ বছরের ছোট প্রসেনজিৎ তাঁর জামাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ছবিতে। কেবল তাই নয়, চিরঞ্জিত চক্রবর্তী এবং তাপল পাল ছিলেন অনামিকার চেয়ে একবছরের বড়।

প্রায় নিজেরই বয়সের কাছাকাছি অভিনেতাদের মায়ের চরিত্রে অভিনয়, কেমন রসায়ন ছিল অনামিকা এবং তাঁর অনস্ক্রিন পুত্রদের। এ ব্যাপারে অনামিকা জানিয়েছিলেন, অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্য়ায় তাঁর চেয়ে মাত্র ৫ বছরের ছোট ছিলেন। তাঁর মৃত্যু তিনি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। ৫ বছরের ব্যবধান থাকা সত্ত্বেও তাঁরা মা-ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। অনেকটা বন্ধুর মতো হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মতো তারকাও তাঁর ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ক্যামেরার সামনে পর্দার ‘মা’ অনামিকাকে প্রণাম করলেও, ক্যামেরা বন্ধ হতেই মস্করা করতেন তাঁর সঙ্গে। এমনকী, ইয়ার্কির ছলে অনামিকার গালে হালকা চড়ও মারতেন প্রসেনজিৎ। দেখতে গেলে তাপস পালও কিন্তু ছিলেন অনামিকার চেয়ে বয়সে কেবল এক বছরের বড়।

মাত্র ২৯ বছর বয়স থেকেই বড় পর্দায় মায়ের চরিত্রে অভিনয় করতে শুরু করেছিলেন অনামিকা সাহা। শ্বশুরবাড়িতে আপত্তি ছিল। বিশেষ করে শ্বশুরমশাই চাইতেন না নায়করা বাড়ির বউয়ের কোমর ধরে নাচুক। কিন্তু অভিনয়ের লোভ সামলাতে পারলেন না। তাই ২৯ বছর বয়সেই প্রায় সমবয়সি নায়কদের মায়ের চরিত্র করতে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন অনামিকা।