প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়

ষাটোর্ধ্ব প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কেরিয়ার শুরু শিশুশিল্পী হিসেবে। তারকা-পিতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের একমাত্র পুত্র ‘স্টার কিড’ হওয়ার কোনও সুবিধে পাননি। তিনটে শিফ্টে কাজ করতেন অহোরাত্র। প্রথমে শিশু শিল্পী (‘ছোট্ট জিজ্ঞাসা’), তারপর ‘দুটি পাতা’ ছবি থেকে নায়ক হিসেবে কেরিয়ার শুরু। প্রথম ছবিতে তেমন মনে রাখার মতো দাগ কাটতে না পারলেও এই ব্যর্থতা বাড়িয়ে দেয় তাঁর জেদ। তারপর কেরিয়ারে আসে ‘অমর-সঙ্গী’, ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’-এর মতো ব্লকবাস্টার বাণিজ্যিক ছবি। ৯০-এর দশকে বাংলা ছবিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব অনেকটা নিজের কাঁধেই নিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ। গ্রামেগঞ্জের দর্শকের কাছে তিনি ছিলেন প্রিয় ‘প্রোসেনজিৎ’; ইন্ডাস্ট্রির কাছে ‘বুম্বাদা’। তাঁর অনুরাগী সংখ্যা তখন থেকেই বিপুল। তারপর নিজেকে নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট শুরু করেন। কেরিয়ারে আসতে শুরু করে ‘উনিশে এপ্রিল’, ‘দোসর’, ‘মনের মানুষ’-এর মতো অন্য ধারার ছবিও। সেই ছবিগুলিতে অভিনয়ের মাধ্যমে মুগ্ধ করেছেন প্রসেনজিৎ। বিগত ৩০ বছর ধরে একাধারে যেমন হরনাথ চক্রবর্তী, স্বপন সাহা, অঞ্জন চৌধুরীর মতো বাণিজ্যিক ছবির পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছেন। তেমনই ক্লাসি দর্শকের পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ, কৌশিক গঙ্গোপাধ্য়ায়, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, গৌতম ঘোষের মতো প্রায় সব সফল পরিচালকের সঙ্গেই কাজ করেছেন। ইদানীং মুম্বইও টানছে তাঁকে। হিন্দি ওয়েব সিরিজ় ‘জুবিলি’, ‘স্কুপ-এ অভিনয় করেছেন। বাংলায় প্রযোজক ছিলেন আগেই। তাঁর প্রযোজনায় তৈরি হয়েছে ‘গানের ওপারে’-এর মতো সিরিয়াল। এবার প্রসেনজিৎ পরিচালনা করতে শুরু করছেন মুম্বইয়ে। সারাজীবনে তিনি পেয়েছেন অগুণতি পুরস্কারও। প্রসেনজিৎ বিশ্বাস করেন, বিনোদনই তাঁর বেঁচে থাকার একমাত্র রসদ।

Read More