‘আমি এটা কেন পেলাম না…’, কোন ভাবনা রচনাকে একেবারেই বিচলিত করে না?

Rachana Banerjee: অন্যের ওপর ছেড়ে দেওয়া নয়, তিনি নিজে যেমন ঠিক তেমনটাতেই সুখী থাকার চেষ্টা করেন। মা হিসেবে নিজেকে ১০-এ সাত দিয়েছিলেন রচনা। শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের সঞ্চালনায় জি বাংলার টক শো অপুর সংসারে এসে খোলা মনে আড্ডায় মেতেছিলেন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।

'আমি এটা কেন পেলাম না...', কোন ভাবনা রচনাকে একেবারেই বিচলিত করে না?
Follow Us:
| Updated on: Sep 18, 2024 | 10:51 PM

রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, একের পর এক হিট ছবি যাঁর দখলে। অনবদ্য অভিনয়ে বারে বারে দর্শকের মনের কেন্দ্রে যিনি জায়গা করে নিয়েছেন, সেই সেলেবের ব্যক্তিগত জীবন ঠিক কতটা পারফেক্ট? রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয় একাধিকবার মুখ খুলে একটা কথাই বারে বারে জানিয়েছিলেন, তিনি নিজের দিকটাই দেখতে বেশি পছন্দ করেন। অন্যের ওপর ছেড়ে দেওয়া নয়, তিনি নিজে যেমন ঠিক তেমনটাতেই সুখী থাকার চেষ্টা করেন। মা হিসেবে নিজেকে ১০-এ সাত দিয়েছিলেন রচনা। শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের সঞ্চালনায় জি বাংলার টক শো অপুর সংসারে এসে খোলা মনে আড্ডায় মেতেছিলেন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রচনার কথায়, তিনি স্ত্রী হিসেবে নিজেকে ১০-এ শূণ্য দেবেন। একবুক আক্ষেপ নিয়ে বলেছিলেন, শাশ্বতর কেন প্রশ্নের উত্তরে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘কারণ আমার মনে হয়, সংসার করার জন্য, ভালভাবে সুষ্ঠভাবে, যে কোয়ালিটি একজন স্ত্রীর মধ্যে থাকা উচিত আমার বোধহয় নেই।’ আর কী কী করতে পারতেন রচনা? উত্তরে বলেছিলেন, ‘আরও অনেকটা বেশি স্বামীর সঙ্গে মানিয়ে নিতে হত। করলে হয়তো সবটা ভীষণ ভাল হল, আদর্শ স্ত্রী হতে পারতাম। সেটা হয়তো করতে পারিনি, কারণ, সবার নিজেস্ব একটা গোল থাকে জীবনে, কেউ মনে করে আমার এই-এই পয়েন্টগুলো ঠিক, অপরজন মনে করে, তাঁর সেই-সেই পয়েন্টগুলো ঠিক। যাঁরা আমরা এই পেশায় (অভিনয়) কাজ করি, বিশেষ করে মেয়েরা, তাঁদের এমন কাউকে বিয়ে করা উচিত, যাঁরা এই পেশাটাকে বুঝবে। যদি এই পেশার মানুষ হন, খুবই ভাল, নয়তো, সেই বোধটা থাকা প্রয়োজন। তেমন মানুষের সঙ্গেই সংসারটা করা উচিত। কারণ আমাদের পেশাটা এতটা আলাদা অন্যদের থেকে, সেটা বোঝা, জানা, সেই মানুষটাকেও অনেক ক্ষেত্রে অনেকটা মানিয়ে নিতে হয়। নয়তো সুখী ঘর হওয়া খুব মুশলিক।’

শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন- ‘এমন মানুষ জীবনে রচনা পাননি বলে কি কখনও আক্ষেপ হয়?’ কঠিন বাস্তব তুলে ধরে রচনা বলেন, ‘সবটাই নিজের মনের মধ্যে। আমি যদি মনে করি এটাতে আমি দুঃখী, আমি এটা কেন পেলাম না, আমার এটা কেন হল না। তার বদলে যদি আমরা মেনে নিয়ে থাকি যে এটা আমার হওয়ার ছিল না, আমারই কোনও খামতি ছিল, বিষয়টা অনেকবেশি সহজ হয়ে যায়।’