ইন্ডাস্ট্রিতে জনপ্রিয় কপিল শর্মা। জনপ্রিয় তাঁর শো ‘কমেডি নাইটস উইদ কপিল’। শো না বলে পরিবার বলাই ভাল। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বহু বছর ধরে চলা ওই শো’কে পরিবারের সঙ্গেই তুলনা করে এসেছেন কপিল। সলমন খান থেকে শাহরুখ খান– বিভিন্ন সময়ে বারংবার ওই শো’য়ে এসেছেন প্রথম সারির অভিনেতারা। এবার ওই শো নিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য র্যাপার রাফতারের। একগুচ্ছ ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। তাঁর মতে, কপিলের ওই শো আদপে শো-অফ ছাড়া আর কিছুই নয়। রাফতার নিজেও এসেছেন এই শো’য়ে। তা সত্ত্বেও কেন কপিলের শো নিয়ে এ হেন মন্তব্য করলেন তিনি? রাফতার দিয়েছেন নিজের যুক্তি। তাঁর কথায়, “আসলে কী হয়, আমি একটা কাজ করলাম। তারপর কপিলের শো’য়ের আমন্ত্রণ পেলাম। আর ওখানে যাওয়া মানেই প্রমাণ করা যায় যে আমরা বিরাট কিছু একটা করে ফেলেছি।” এখানেই থামেননি রাফতার। কপিলের ওই শো’কে ‘শোশেবাজি’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। শোশেবাজির বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, নিজেকে নিজেই বোকা বানানো। তিনি বলেন, “জনতার সামনে সম্মান বেড়ে যায়। নিজেকে অনেক বড় লাগে। এমনকি বাবা-মাও যখন দেখে তখন মনে হয়, ওরে বাবা ছেলেমেয়ে তো কপিলের শো’তে গিয়েছে। এই জগতে এর কোনও মানে নেই।”
যদিও রাফতারের এই মন্তব্যের পাল্টা উত্তর দেননি কপিল। তবে তিনি যে ছেড়ে কথা বলেন না তা কিন্তু সকলেরই জানা। কিছুদিন আগে শোনা গিয়েছিল, পরিবারের সঙ্গে এবার সময় কাটাতে চান কপিল, এবং একঘেয়েমি কাটাতেই তাই শো থেকে বিরতি নিতে চান। ‘কপিল শর্মা শো’ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্মাতারা, এও শোনা যায়। জুনে শেষ পর্বটি সম্প্রচারের পর কিছুদিনের জন্য আর বসবে না কপিলের হাসির আসর। তবে এবার ‘ইটি টাইমস’-এর তরফে কপিলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কপিল জানিয়েছেন, এখনই কোনও চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। জুলাইতে আমেরিকায় লাইভ শোয়ের জন্য উড়ে যাচ্ছে টিম । সেখানে গিয়ে পুরো বিষয়টি নিয়ে ভাবা হবে।”
২০১৬-তে শুরু হয় ‘দ্য কপিল শর্মা শো।’ গত সাত বছর ধরে দর্শকদের জমিয়ে হাসাচ্ছে এই শো। হিন্দিতে সম্প্রচারিত হলেও বাংলাতেও এই শোয়ের ভক্ত সংখ্যা কম নয়। শাহরুখ থেকে সলমন বলিউডের তাবড়-তাবড় অভিনেতারা আসেন এই শোয়ে। সারাদিনের ক্লান্তি মেটাতে কফি কাপে চুমুক দিতে দিতে হাসতে তাই কপিলই ভরসা। তাই শো বন্ধের খবরে বেজায় দুঃখ পেয়েছিলেন ফ্যানরা। তবে তাঁদের স্বস্তির খবর দিলেন কমেডি কিং নিজেই।