যে সময় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বিয়ে করেছিলেন সে সময় বাংলায় বাম-জমানা। সালটা ১৯৯৯। বিয়েতে হাজির হয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তারপর কী ঘটে? বলতে গিয়েই খানিক আবেগঘন ঋতুপর্ণা। হবেন নাই বা কেন? যাকে নিয়ে এত স্মৃতি, এত আলোচনা, সেই মানুষটাই যে আর নেই। ঋতুপর্ণার কথায়, “বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তো কেবলই একজন রাজনৈতিক স্টলওয়ার্ট নন। একজন বিরল মানুষ। একজন স্তম্ভ। আজ চলে গেলেন। কিন্তু ওঁর শিক্ষা, আদর্শ, ত্যাগ, মানসিকতা দিয়ে আমাদের সমাজকে উর্বর করে গেলেন। ওঁর মত একজন শিক্ষিত এবং ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ আমাদের সমাজে যে অবদান রেখে গেলেন, যে সম্যগদর্শন, যে পরিজ্ঞান সেও তো এক বিরাট সম্পদ।”
অভিনেত্রী ফিরে গেলেন অতীতে। বহু বছর কেটে গেলেও যে স্মৃতি তিনি আজও ভুলতে পারেনি। ছবি আবছা হলেও স্মৃতি আজও ফিকে হয়নি। তিনি যোগ করেন, “আজ খুব মনে পড়ছে আমার বিয়ের দিনের কথা। তখন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। উনি এবং বুদ্ধদেব বাবু এসেছিলেন। আমাকে আশীর্বাদ করে গিয়েছিলেন। যদিও অনেকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। আমি একদিন হাসপাতালে দেখতেও গিয়েছিলাম। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তাঁর প্রজ্ঞায় ছিলেন অটল। আদর্শের রক্ষায় তিনি অতন্দ্র এক সৈনিক। নিজেকে উদাহরণ হিসেবে প্রস্তুত করা একজন মানুষকে আজ স্যালুট জানাই। আপনাকে আমরা সবসময়ই মনে রাখব এক বিরল মানুষ হিসেবে যিনি অনুপ্রাণিত করেছেন আমৃত্যু।”
রাজনৈতিক মত ভিন্ন হলেও আজ নেতা থেকে আমজনতা– বুদ্ধ স্মরণে ব্যস্ত সকলেই। পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে আর ফিরবেন না তিনি। আর জিজ্ঞাসা করা হবে না রাজ্যের হাল-হকিকত। ছুটি ঘোষিত হয়েছে আগেই, বুদ্ধ-দিনে শোক যদিও ফিকে হওয়ার নয়।