‘বোধহীন’ বলে তোপ, পরোক্ষেই কুণালকে চুড়ান্ত তুলোধনা ঋত্বিকের!
Kunal Ghosh: দু'দিন আগেই টলিপাড়ার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের তুমুল সমালোচনা করেছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে ছবি দিয়ে নিজেদের গুরুত্ব বাড়ান তাঁরা। এ নিয়ে টলিউডের অন্দরে ক্ষোভ জন্মেছে। প্রকাশ্যে কেউ কিছু না বললেও অনেকেই ব্যক্তিগত স্তরে কুণালের ওই মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন।
দু’দিন আগেই টলিপাড়ার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের তুমুল সমালোচনা করেছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে ছবি দিয়ে নিজেদের গুরুত্ব বাড়ান তাঁরা। এ নিয়ে টলিউডের অন্দরে ক্ষোভ জন্মেছে। প্রকাশ্যে কেউ কিছু না বললেও অনেকেই ব্যক্তিগত স্তরে কুণালের ওই মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন। এ সবের মাঝেই নাম না নিয়েই কুণালকে এবার তুলোধনা অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তীর। শুধু কি তাই সুকুমার রায়ের কবিতা ধার করে কুণালকে ‘বোধহীন স্কন্ধ’ বলতেও পিছপা হলেন না তিনি।
কুণাল তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, “আফসোস লাগে। মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বহু পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা এমন কিছু রাজনৈতিক ছবি করেন যা সমাজে বিজেপির পক্ষে ন্যারেটিভ তৈরি করে। এবার তো বাংলা নিয়েও কুৎসার ঝুলি আসছে। অথচ টলিগঞ্জের বাবু/বিবিরা, যাঁরা মমতাদির পাশে, দলে, মঞ্চে, ছবির ফ্রেমে থাকেন, তাঁরা নিজেদের ইমেজ গড়তে, পেশার সৌজন্য নিয়ে ব্যস্ত। দিদির পাশে ছবি দিয়ে গুরুত্ব বাড়ান, কিন্তু মমতাদির বায়োপিক বা তৃণমূলের পক্ষে বার্তা যেতে পারে, এমন কোনও সিনেমার কথা তাঁরা ভাবেন না।”
এর পরেই ঋত্বিককে লিখতে দেখা যায়, “শুনেছো তো বাবু বলে দিয়েছে। শুধু পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে গুরুত্ব বাড়িও না দরকারে চটিজুতা মাথায় তুলে পাহারা দাও বন্ধু। ছোট করে বললে- শুনেছো কি বলে গেল বোধহীন স্কন্ধ/তোমাদের গায়ে শুধু ধান্দার গন্ধ”। যদিও ঋত্বিকের এই পোস্টের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি কুণালকে। তবে শুধু টলিউডই নয়, তাঁর নিশানায় ছাড় পাননি অরিজিৎ সিংও।