তাপস পালের দিকে দৌড়ে যেতে গিয়ে কাদায় পড়লেন শতাব্দী রায়, তারপর?
শতাব্দীর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এই গল্প শুনে, আপ্লুত অনুরাগীরা। একজন লিখেছেন, ''তাপস-শতাব্দী জুটির এই গান কোনওদিন পুরোনো হবে না। পরবর্তীকালে বহু বাংলা ধারাবাহিকে বা অনুষ্ঠানে এই গানটা ব্যবহার করা হয়েছে। আজও গানটা কানে এনে এই জুটির রোম্যান্স মনে পড়ে যায়।''

‘গুরুদক্ষিণা’ ছবির ‘ফুল কেন লাল হয়’ গান শুটিংয়ের একটা মজার গল্প সামনে আনলেন শতাব্দী রায়। শতাব্দী বললেন, ”এই গানের শুটিং হয়েছিল ফলতাতে। সেই সময়ে সেখানে কতটা কাদা ছিল, তা বলে বোঝানো মুশকিল। তার মধ্যেই শুটিং চলছিল। কাদার মধ্যে তাপস পালের দিকে দৌড়ে যেতে গিয়ে আমি পড়ে গিয়েছিলাম। আর পোশাকে কাদা লেগে গেল। সেই সময়ে কোনও মেকআপ ভ্যান নেই। কাছাকাছি একটা কারও বাড়ি খুঁজে সেই পোশাক ধুয়ে শুকিয়ে আবার শুটিং শুরু হয়েছিল। আবার কাদায় পড়ে গিয়েছিলাম আমি। কীভাবে যে এই শুটিং করেছি, সেটা আমরাই জানি।”
শতাব্দী যোগ করেন, ”এই গান ভলো করে দেখলে বোঝা যাবে, তাপস পাল আমার হাত ধরে রয়েছেন। সেটা কিন্তু হাত ধরার জন্য হাত ধরা নয়। হাতটা ধরে ছিল, যাতে আমি পড়ে না যাই। সেই সময়ে মুক্তি পাওয়া গানটা আজও এত হিট। দেখে মনে হয়, কত সুন্দর মুহূর্ত। কিন্তু শুটিংয়ের গল্পটা এরকমই।”
শতাব্দীর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এই গল্প শুনে, আপ্লুত অনুরাগীরা। একজন লিখেছেন, ”তাপস-শতাব্দী জুটির এই গান কোনওদিন পুরোনো হবে না। পরবর্তীকালে বহু বাংলা ধারাবাহিকে বা অনুষ্ঠানে এই গানটা ব্যবহার করা হয়েছে। আজও গানটা কানে এনে এই জুটির রোম্যান্স মনে পড়ে যায়।” শতাব্দী সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন কবিতা পোস্ট করেন। তার সঙ্গে যেভাবে শুটিংয়ের গল্প পোস্ট করছেন তিনি, তাতে খুশি অনুরাগীরা। এই গানের সঙ্গে কিছুদিন আগে নেচেও ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন নায়িকা। সেখানে শতাব্দীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর মেয়ে।
