‘আমি কথা দিতে পারি…’, জাতীয় পুরস্কারে সম্মানীত হতেই কী বললেন কিং খান?
কেরিয়ারে অন্যতম বড় প্রাপ্তী। তাই অসুস্থ অবস্থাতেই সকলের সামনে এলেন শাহরুখ। হাতে, কোমড়ে বেল্ট। কয়েকদিন আগেই তাঁর চোটের কারণে চিকিৎসার খবর সামনে এসেছিল। এখন তিনি বিশ্রামেই রয়েছেন। তবে এই খবরে অনুরাগীদের সামনে না এসে থাকতে পারলেন না।

ঘড়ির কাঁটায় তখন সন্ধ্যা ৬টা, ৭১ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা হতেই নেটপাড়ায় উচ্ছ্বাস। দীর্ঘ ৩৩ বছর বছর পর, বাদশার ঝুলিতে সেরার সেরা শিরোপা। সেরা অভিনেতা বিভাগে ‘জওয়ান’ স্টার শাহরুখ জিতে নিলেন খেতাব। আর তখন থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শাহরুখ ভক্তদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। আর ঘড়ির কাঁটা কয়েকঘন্টা গড়াতেই নেটপাড়ায় হাজির খোদ কিং খান। শাহরুখ খান সকলকে ধন্যবাদ জানাতে হাজির।
কেরিয়ারে অন্যতম বড় প্রাপ্তী। তাই অসুস্থ অবস্থাতেই সকলের সামনে এলেন শাহরুখ। হাতে, কোমড়ে বেল্ট। কয়েকদিন আগেই তাঁর চোটের কারণে চিকিৎসার খবর সামনে এসেছিল। এখন তিনি বিশ্রামেই রয়েছেন। তবে এই খবরে অনুরাগীদের সামনে না এসে থাকতে পারলেন না।
কী বললেন কিং খান?
“নমস্কার, আদাব, জাতীয় পুরস্কার এমন একটা প্রাপ্তী, যা নিয়ে আমি সারা জীবন গর্ব করব। জুরি সদস্যদের ধন্যবাদ, তথ্য ও সম্প্রচার বিভাগের চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ, যাঁরা আমাকে এই পুরস্কারের যোগ্য মনে করেছেন, সকলকে ধন্যবাদ। আমার সিনেমার পরিচালকদের, লেখকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, যাঁরা ২০২৩ সাল এত বিশেষ করে তুলেছেন। সিদ্ধার্থ আনন্দ, রাজকুমার হিরানি, বিশেষ করে অ্যাটলি ও তাঁর টিমকে ধন্যবাদ জানাই। আমাকে জওয়ান-এ সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আমি আমার টিমের সদস্যদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমাকে যাঁরা সব সময় নজরে রাখেন, আমাকে যেমন দেখতে, তার থেকে বেশি সুন্দর করে রাখেন, তাঁদেরও ধন্যবাদ জানাই। …ধন্যবাদ সকলকে। আমার স্ত্রী ও সন্তানেরা শেষ চার বছরে আমায় অনেক ভালবাসা দিয়েছে, যেন আমিই বাড়িতে শিশু। সব সময় ওরা আমার থেকে সেরাটাই চেয়েছে। ওরা আমার সিনেমার প্রতি টান সম্পর্কে অবগত, আমাকে ওদের থেকে দূরে নিয়ে যায় এই সিনেমা। তাও হাসি মুখে আমায় সাপোর্ট করে। জাতীয় পুরস্কার শুধুই একটা প্রাপ্তী নয়, এই পুরস্কার এটাও স্মরণ করিয়ে দেয়, আমি যেটা করছি, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। এই পুরস্কার আমায় বলতে থাকে, এগিয়ে চলো, কঠোর পরিশ্রম করো। সিনেমা করো। আমি কথা দিতে পারি, এই প্রাপ্তী মোটেও শেষ নয়, এটা হল ফিউল (তেল) প্রতি নিয়ত শিখে যাওয়ার জন্যে, সেরাটা করে যাওয়ার জন্যে। এই পুরস্কার আমায় মনে করিয়ে দেয়, অভিনয় কেবল একটা কাজ নয়, একটা বড় দায়িত্বও বটে। পর্দায় সত্যি তুলে ধরার দায়িত্ব। প্রত্যেকের ভালবাসায় আমি কৃতজ্ঞ। এই সম্মান দেওয়ার জন্যে ভারত সরকারকে অনেক ধন্যবাদ। শেষে আমার অনুরাগীদের বলবো, ধন্যবাদ এত ভালবাসার জন্যে। আর ধন্যবাদ, স্ক্রোল থামিয়ে আমার এই ভিডিয়ো দেখার জন্যে। এই পুরস্কার আপনাদের জন্যে, প্রতিটা পুরস্কারই আপনাদের জন্যে। আমি চাই হাতখুলে আপনাদের ভালবাসা জানাতে, কিন্তু এই মুহূর্তে পারছি না। তবে চিন্তা নেই, পপকর্ন তৈরি রাখুন, আমি থিয়েটারে ফিরছি। ততক্ষণ পর্যন্ত, একটা হাতেই…।”
