‘মুখের সামনে পা তুলছে, কোনওক্রমে টিকে আছি’, স্ত্রীকে হারিয়ে অসহায় শঙ্কর!
Shankar Chakraborty: সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শঙ্কর জানিয়েছেন, কোনওরকমে টিকে আছেন তিনি। বাবা-জ্যেঠার চরিত্রে লোক লাগবে বলে আছেন। তবে বাজেট নিয়ে খুশি নন, জানিয়েছেন রাখঢাক না করেই। তাঁর কথায়, "একটু বেশি টাকা চাইলেই এরা বাদ দিয়ে দেবে।"
শৈশব কেটেছে এক অদ্ভুত সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে। মাঝে একটা লম্বা সময় আঁকড়ে রেখেছিলেন স্ত্রী সোনালী চক্রবর্তী। তিনি চলে যাওয়ার পর আজ কি বড় বেশি নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছেন অভিনেতা শঙ্কর চক্রবর্তী? চারিদিকে যা দেখছেন, যা ব্যবহার পাচ্ছেন, তাতে একেবারেই খুশি নন তিনি? কী নিয়ে এত বিচলিত? কেন বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তাঁর কণ্ঠ থেকে ঝরে পড়ছে হাহুতাশ?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শঙ্কর জানিয়েছেন, কোনওরকমে টিকে আছেন তিনি। বাবা-জ্যেঠার চরিত্রে লোক লাগবে বলে আছেন। তবে বাজেট নিয়ে খুশি নন, জানিয়েছেন রাখঢাক না করেই। তাঁর কথায়, “একটু বেশি টাকা চাইলেই এরা বাদ দিয়ে দেবে।” শুধু কি তাই? এতদিন ধরে কাজ করার অভিজ্ঞতা যে মানুষটার, সেই মানুষটাই এখন পাচ্ছেন না যোগ্য সম্মান! তরুণ প্রজন্মকে ঘিরে তাই সঞ্চারিত হচ্ছে ক্ষোভ? সেটে এসে রিলস বানানো একেবারেই যে পছন্দ হচ্ছে না তাঁর। স্ক্রিপ্ট না পড়া, একাগ্রতার অভাব, এ সব একেবারেই অপছন্দ তাঁর। কিছু দিন আগেই টিভিনাইন বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী অনামিকা সাহা, বাংলা সিনেমা জগতের জনপ্রিয় খলনায়িকাও উগরে দিয়েছিলেন একই ক্ষোভ। জানিয়েছিলেন, সম্মান না পাওয়ার প্রসঙ্গও। শঙ্কর চক্রবর্তীও সেই কথাতেই সুর মিলিয়ে বলেন, “সিনিয়রদের সম্মান করার বিষয়ও নেই। বিশেষ করে নতুন অভিনেতা -অভিনেত্রীদের। হয়তো সামনে বসে আছেন সিনিয়র অভিনেতা তার সামনে পা তুলে দিচ্ছে।” সৌজন্যবোধ, শিক্ষা, সম্মানের দিকেই আঙুল তুলছেন শঙ্কর।
উত্তরা, মেজো বউ, গোঁসাই বাগানে ভূত– আরও অনেক ছবিতে দেখা গিয়েছে শঙ্করকে। বেড়ে উঠেছিলেন বস্তিতে। তাঁর জীবন সংগ্রামের কাহিনী রীতিমতো সিনেমার প্লট হতে পারে। সেই কঠিন দিনগুলোয় সোনালি তাঁকে হাত ধরে টেনে উপরে তুলেছিলেন। ২০২২ সালে ক্যানসারের কাছে হেরে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। সেই থেকে একাকী জীবন কাটাচ্ছেন শঙ্কর।