‘এইবারটি মর্ত্যের অসুর বিনাশ করো মা’, দেবীপক্ষের সূচনায় কাতর আর্জি শ্রুতির
Shruti Das: কেউই চান না শহরের এই কঠিন সত্যি আলোর রোসনাইতে মিলিয়ে যাক। তবে পুজো তো হবেই পুজোর মতো করে। কেউ কেউ আবার দাবি তুলছেন, যেন পেটের ভাত না মারা হয় সাধারণের। তাই খানিক হলেও উৎসবে যোগ দেওয়া।
অরিজিত্ সিং, সৌরভ দাসের পর নজর কেড়েছিলেন শ্রুতি দাসও। আরজি কর কাণ্ডে বারবার সরব হয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক পোস্ট করেছেন। যা নিয়ে চর্চার কেন্দ্রেও জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। তিলোত্তমা কাণ্ডের বিচার চেয়ে গান বেঁধেছিলেন গায়ক এবং অভিনেতা দুজনেই। সেই তালিকায় নাম জুড়েছিল অভিনেত্রীরও। প্রথম দিন থেকেই আরজি কর কাণ্ডে সরব হয়েছেন তাঁরা। কিছু দিন আগে প্রতিবাদ মিছিলে রাস্তায়ও নেমেছিলেন নায়িকা। সেই গান নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন অভিনেত্রী। যে গানের প্রতিটি লাইনের মানে একটাই তিলোত্তমা বিচার পাবে। উত্তপ্ত শহর আবার সুস্থ হবে। নিজের গানের ভিডিয়ো পোস্ট করে অভিনেত্রী লিখেছিলেন, “এই কঠিন সময়টা আমায় অনেকখানি বড় করে দিয়েছে। এত দিন শখে গান গাইতাম আজ এই বিখ্যাত গানের সুরে নিজের হাতে লেখাও বেড়িয়ে এল। ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন।”
দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে বহু দিন। পার হয়ে গিয়েছে বহু রাত। এখনও বিচারের আশায় রাত দখল করছেন বহু মানুষ। সেই তালিকাতে নিজের নাম পাকা করেছেন শ্রুতি। উৎসবে ফিরছেন না অনেকেই। কেউই চান না শহরের এই কঠিন সত্যি আলোর রোসনাইতে মিলিয়ে যাক। তবে পুজো তো হবেই পুজোর মতো করে। কেউ কেউ আবার দাবি তুলছেন, যেন পেটের ভাত না মারা হয় সাধারণের। তাই খানিক হলেও উৎসবে যোগ দেওয়া।
তবে দেবীপক্ষের সূচনাতে বিন্দুমাত্র ম্লান হল না আন্দোলন। প্রার্থনাতেও জড়িয়ে রইল খুব চেনা ছবি। বিভিন্ন তারকারা বিচারের প্রার্থনাই করছেন। এদিন শ্রুতিও সোশ্যাল মিডিয়ায় একই বার্তা দিলেন। লিখলেন, ‘দেবীপক্ষের সূচনায় একটাই প্রার্থনা, এইবারটি মর্ত্যের অসুর বিনাশ করো মা।’