Sreema Bhattacharjee: অভাব মেটাতে চুরির পরিকল্পনা, শ্রীমার এ রূপ অতীতে কেউ দেখেননি

Exclusive: অভিনয় জগতে এক উজ্জ্বল মুখ। বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চরিত্রে ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছেন তিনি। চমক লাগিয়েছেন ড্রইং রুমে। এবার কী এমন ঘটল যে চুরি করার পরিকল্পনায় জড়িয়ে পড়লেন তিনি! অবাক হচ্ছেন তো!

Sreema Bhattacharjee: অভাব মেটাতে চুরির পরিকল্পনা, শ্রীমার এ রূপ অতীতে কেউ দেখেননি
Follow Us:
| Updated on: Aug 07, 2024 | 6:04 PM

অভিনেত্রী শ্রীমা ভট্টাচার্য। অভিনয় জগতে এক উজ্জ্বল মুখ। বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চরিত্রে ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছেন তিনি। চমক লাগিয়েছেন ড্রইং রুমে। এবার কী এমন ঘটল যে চুরি করার পরিকল্পনায় জড়িয়ে পড়লেন তিনি! অবাক হচ্ছেন তো! না, একেবারেই তিনি শ্রীমা নন, বরং শ্রীমার নয়া রূপ নীলার এটাই স্বরূপ। পরিবারে অভাব, আর্থিক টানাপোড়েনের চাপে পড়ে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় সে। প্রসঙ্গ, বসু পরিবার ধারাবাহিক। এবার নতুন ধারাবাহিকে নতুন চমক নিয়ে হাজির হলেন অভিনেত্রী। যেখানে এক অন্যস্বাদের গল্প বলবে নীলা। TV9 বাংলাকে শ্রীমা বললেন, ‘এই ছকভাঙা চরিত্রর খিদেটাই তো বাস্তব’।

কে এই নীলা? 

ধারাবাহিক বসু পরিবার-এর এক চরিত্র। নীলা বস্তিতে থাকে। টানাটানির সংসার। নীলার জামাইবাবু তাই নীলাকে অনেকের বাড়িতে চুরি করতে পাঠায়। কিন্তু নীলা চুরি করতে পারে না কোনও বাড়িতেই! সংসারে অভাব আরও বাড়ে। একদিন নীলার জামাইবাবু অঞ্জনবাবুর বাড়িতে চুরি করতে পাঠায় নীলাকে। যথারীতি অঞ্জনবাবুর বাড়িতেও চুরি করতে পারে না নীলা। বরং অঞ্জনবাবুর স্ত্রীর সঙ্গে দারুন আলাপ জমে যায়, বড় মা বলে ডাকে। অঞ্জনবাবুর বাড়িতেই মাস মাইনে করা কাজের মেয়ে হয়ে থাকতে শুরু করে নীলা।

শ্রীমা মানেই তো পর্দায় গ্ল্যামার, মাটির কাছাকাছি চরিত্রের চ্যালেঞ্জ কতটা? 

যদি আমি ভেবে দেখি, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমি বড়লোক বাড়ির মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। আর্থিকভাবে পুষ্ট যদি নাও হয়ে থাকে, তবে শিক্ষিত, সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্যর চরিত্রেই অভিনয় করেছি। মাইথলজি বা ফিকশন বাদ দিয়ে। নীলার চরিত্রটানা একটু অন্য রকম। সে চায় সকলকে ভালবাসতে, আগলে রাখতে। চেষ্টা করে পরিবারের পাশে থাকার। রোজগারের পথটা তাঁর কাছে বিষয় নয়, টাকা বিষয়। যা দিয়ে সে অভাব দূর করতে পারে। ওর কাছে কোনও কাজই ছোট নয়।

‘নীলা’ হয়ে উঠতে কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হয়?

এই চরিত্রটা এমন কিছু মানুষের প্রতিচ্ছবি, যাঁদের দৈনন্দিন জীবনে দেখতে পেলেও তাঁদের ভিতরের কষ্টটা আমরা অনেকেই জানতে যাই না। হয়তো বা আমরা নিজেদের জীবন নিয়ে এতটাই ব্যস্ত থাকি যে মাঝে মধ্যে এড়িয়েও যাই। এখানে দাঁড়িয়েই আমার মনে হয়, এটা একটা বড় দায়িত্ব। বাবা-মা হারানো একটা মেয়ে যখন বসু পরিবারে পা রেখে দেখছে যে পরিবার কেমন হয়, স্নেহ কী জিনিস, সেটা নীলা অনুভব করে।

‘নীলা’ই কেন?

ছকভাঙা চরিত্র কে না চায়। যার কারণে মানুষ ওটিটি বা সিনেমা করতে ভালবাসে, কারণ একই রকম চরিত্রের বাইরে গিয়ে নানা চরিত্র হয়ে ওঠা যায়। সেখানে দাঁড়িয়ে এটাও আমার কাছে তেমনই একটা পাওয়া। আমরা বাস্তবে যেমনভাবে কথা বলে থাকি, সেটা এই চরিত্রে সম্ভবপর নয়। মার্জিতভাষায় কথা বলতে হচ্ছে, ইংরেজি শব্দের ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হচ্ছে।

কেমন প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন? 

বাড়ির সকলে তো ভীষণই খুশি। মা-বাবা জানেন এই আবেগটা আমার মধ্যে রয়েছে। আর যাঁরা শুভাকাঙ্খী তাঁরা তো তো শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, সান বাংলায় শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক বসু পরিবার। প্রতিদিন সন্ধ্যে সাতটায় সম্প্রচারিত হচ্ছে। এই ধারাবাহিকে অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন, অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়, সৌরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, অনিমেষ ভাদুড়ি, সায়ন্তনী মল্লিক, শ্রীতমা রায়চৌধুরী কৌশিকী গুহ, কৌশিক দাস, দীপ্সিতা মিত্র, রাজর্ষি-সহ আরও অনেকে।