বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের আপত্তিকর মন্তব্য নিয়ে তাঁর নাম না নিয়েই এ বার মুখ খুললেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী। মঙ্গলবার রাতে এক পোস্টে সুদীপ্তার বক্তব্য, “যেদিন থেকে শুরু করেন শিল্পী হবার যাত্রা, রগড়ানি শুরু হয় সেদিন থেকেই।”।
দীর্ঘ পোস্টে সুদীপা আরও লেখেন, “আপনি বোধ হয় জানেন না যে শিল্পীরা রগড়ে রগড়েই শিল্পী হন। যে কোন শিল্পকর্মের প্রতি দখল জন্মেই আয়ত্ত করা যায়না। ক্রমাগত রগড়াতে রগড়াতে যদি বা শিল্পী হওয়া যায়, তারপর চলে শিল্পী হয়ে টিঁকে থাকার লড়াই….. আমৃত্যু। সেখানেও রগড়াতে হয় বইকি। রোজ। তাই দয়া করে শিল্পীদের রগড়ে দেবার ভয় দেখাবেন না। ওটার অভ্যাস আছে। রগড়ানি খেয়ে উঠে দাঁড়াবার অভ্যাস ও আছে। ” সবশেষে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে ‘ভাল থাকার’ গোলাপসহ শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন অভিনেত্রী। কমেন্টেও ‘রগড়ানো’ বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। শিল্পীকুল থেকে সাধারণ–একজোটে সমর্থন করেছেন সুদীপার বক্তব্যকেই।
প্রসঙ্গত, এক সংবাদ মাধ্যমে দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হয়, বেশ কিছু শিল্পীদের গাওয়া ‘আমরা এই দেশেতেই থাকবো’ গানটি তাঁর কেমন লেগেছে। প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে দিলীপের সাফ কথা, “শিল্পীদের এটা শোভা পায় না। রাজনীতিটা আমাদের করতে দিন। না হলে রগড়ে দেব। আর শিল্পীরা জানেন, আমি কীভাবে রগড়াই।” এর পরেই ঝড় ওঠে সাংস্কৃতিক মহলে। দল নির্বিশেষে প্রতিবাদ জানান, টলিপাড়ার কলাকুশলীদের একটা বড় অংশ। প্রতিবাদ করেন বিজেপি নেত্রী তথা অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মৈত্রও। তিনি ফেসবুকে লেখেন, আজ শিল্পী হয়ে নিজেকে খুব ছোট মনে হচ্ছে। রং মাখি বলে আমাদের এভাবে অপমান করা হবে? ‘রগড়ে’ দেওয়া হবে আমাদের পরিশ্রম। আমাদের নিজেদের কাজের প্রতি সততা নিষ্ঠাকে অসম্মান করা হবে? না ন্যাকামি করছি না। আমার বিজেপি কর্মী-শিল্পীদেরও বলছি, কাপুরুষ হবেন না। সবকিছুর সীমা রয়েছে! আমি এইরকম অসম্মানজনক আচরণকে সমর্থন করি না।’
যদিও পাল্টা রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, “দিলীপ ঘোষ সবসময় মাঠে-ময়দানে-প্রচারে চাঁচাছোলা ভাষাতে কথা বলেন। রেখেঢেকে নয়, মেঠো ভাষাতেই তিনি প্রতিপক্ষকে পাল্টা দেন, এটাই ‘রগড়ানি’।”
তবু ‘রগড়ানো’ মন্তব্যের পাল্টা ঝড় জারি এখনও। এ বার প্রতিবাদ করলেন সুদীপ্তাও।