Bhaswar Chatterjee: ‘আমি কিচ্ছু ভুলিনি’, রূপার জন্মদিনে অভিনব শুভেচ্ছা ভাস্বরের

Roopa Ganguly: একজন সিনিয়রের প্রতি জুনিয়র কী ভাবে শ্রদ্ধা জানাতে পারে, তা দেখিয়ে দিলেন অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় রূপার সঙ্গে নিজের ছবি শেয়ার করে শুভেচ্ছা বার্তা লিখেছেন তিনি।

Bhaswar Chatterjee: ‘আমি কিচ্ছু ভুলিনি’, রূপার জন্মদিনে অভিনব শুভেচ্ছা ভাস্বরের
ভাস্বরের শেয়ার করা সেই ছবি। ফেসবুক থেকে গৃহীত।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 25, 2021 | 1:03 PM

জন্মদিন। সকলের জীবনেই কম-বেশি স্পেশ্যাল। ব্যতিক্রম নন অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও। আজ তাঁর জন্মদিন। বহু মানুষ আজ শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন রূপাকে। তার মধ্যে ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মীরাও রয়েছেন। কিন্তু একজন সিনিয়রের প্রতি জুনিয়র কী ভাবে শ্রদ্ধা জানাতে পারে, তা দেখিয়ে দিলেন অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় রূপার সঙ্গে নিজের ছবি শেয়ার করে শুভেচ্ছা বার্তা লিখেছেন তিনি।

ভাস্বর লিখেছেন, ‘তোমার সাথে যেদিন প্রথম জন্মভূমি র ফ্লোরে দেখা হল,আগের দিন থেকে জানতাম তোমার সাথে সিন, উত্তেজনায় ছটফট করছিলাম। তুমি এসেই একটা নতুন ছেলেকে কত স্বাভাবিক করে দিলে, বললে আমি তোমার সিন দেখেছি…ভাল হচ্ছে কাজ। ব্যাস সব ভয় কেটে গেল। মনে আছে জন্মভূমির সেটে মাঝে মধ্যে খোলা গলায় একি লাবণ্যে পুন্য প্রানে গেয়ে উঠতে? জোরে কথা বলার সিনে শিখিয়েছিলে কী ভাবে ভয়েজ ইউজ করতে হয়। আমি কিচ্ছু ভুলিনি। তুমি মানুষটাকে তো অনেকেই চেনে না। নিজে ড্রাইভ করে যখন যাও কোথাও ,পথ চলতি কত অসহায় মানুষ কে এমনি লিফট দিয়ে দাও। শুনে আমি বলেছিলাম সেকি, তুমি এতবড় একজন স্টার হয়ে এসব কর? তুমি হেসে বলেছিলে একটু হেল্প করতে কী যায় আসে বল। ভাল থেক। তুমি কোন পলিটিক্যআল পার্টির আমি জানি না। আমি জানি তুমি একজন তুখোড় অভিনেত্রী, এটাই শেষ কথা।’

সদ্য কাশ্মীর বেড়াতে গিয়েছিলেন ভাস্বর। তাঁর বন্ধুর কাকা প্রায় ৮০ বছর বয়সী এক প্রবীণ শিল্পীর সঙ্গে দেখা হয় ভাস্বরের। নিপুণ দক্ষতায় তিনি কার্পেট বুনে চলেছেন। তাঁর কাজের নিষ্ঠা, ধৈর্য্য দেখে আপ্লুত ভাস্বর। ভিডিয়ো তৈরি করে তা শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই প্রবীণ শিল্পী নাকি দিলীপ কুমারের বড় ভক্ত।

ভাস্বরের বাঁকুড়ার বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়। প্রতি বছর সেখানেই যান তিনি। কিন্তু এই বছরের রুটিন একেবারে আলাদা ছিল। এ প্রসঙ্গে ভাস্বর বলেছিলেন, “বাঁকুড়ায় আগের বছর কোভিডের মধ্যেও গিয়েছিলাম। আমি আর বাবা। আমাদের অনেক বড় পরিবার। গতবার কোভিডের জন্যই অনেকে আসতে পারেননি। এ ভারও কোভিডের জন্যই বিশেষ কেউ আসতে পারবেন না হয়তো। বাবারা সাত ভাই বোন। বাবার দাদু এই পুজো শুরু করেছিলেন। আত্মীয়রা বেশিরভাগই কলকাতার বাইরে থাকেন। মুম্বই, দিল্লি, ফরিদাবাদ, ইউএস, অস্ট্রেলিয়ায় ছড়িয়ে রয়েছেন আমাদের সব আত্মীয়। যেমন সিনেমায় আমরা দেখি, পুজোর সময় বাড়ির সবাই এসে এক জায়গায় হচ্ছেন। আমাদের বাড়িতেও তাই হয়। গতবার তো জুম কলে আমি সকলকে অঞ্জলি দেখিয়েছিলাম। যারা আসতে পারেনি, নিজেদের জায়গায় বসে জুম মিটে অঞ্জলি দিয়েছিল।”

আরও পড়ুন, Money Heist: ‘মানি হাইস্ট’-এর শেষ সিজনে প্রফেসরের দলের সকলে কি আত্মসমর্পণ করবেন?