একজন কলকাতার মেয়ে অন্যজন হলদিয়ার। দুজনেই বলিউডে টিভি দুনিয়ায় বেশ পরিচিত নাম। দুজনেই আবার বাঙালি। এখানেই শেষ নয়, দুজনেই সলমন খান পরিচালিত বিগবসের এই নতুন সিজনে অংশ নিয়েছিলেন। চলতি সিজনে গতকাল অর্থাৎ শনিবার রাতেই ছিল ‘এভিকশন’ বা বাতিল হওয়ার দিন। ফলাফল এলে দেখা গেল বাদ পড়েছেন সৃজিতা দে। টিনা যদিও সুরক্ষিত। এরপরেই নেটিজেনদের একাংশের ক্ষোভ গিয়ে জমা পড়েছে টিনার খাতে। শুধু কি নেটিজেন? খোদ সৃজিতাও শো থেকে বেরিয়ে টিনার বিরুদ্ধে সরব।
এত তাড়াতাড়ি তিনি যে বেরিয়ে যাবেন তা যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না খোদ টিনারই। তাঁর কথায়, “বাইরে বেরিয়ে আমি দেখতে পেরেছি গোটা শো জুড়েই আমার নামে প্রচুর বাজে কথা বলে গিয়েছে টিনা। এর সবটাই আমার পিছনে। যদিও সামনে ও সমানে বলে গিয়েছে আমাদের শক্ত হতে হবে। ও আমা বন্ধু নয়। যদি আমি বেরিয়ে যাওয়া আগে এ সব জানতে পারতাম তবে ওকে আচ্ছা করে সবটা বুঝিয়ে দিতাম।” সৃজিতা আবারও ফিরে যেতে চান বিগবসে, ওয়াইল্ড কার্ড হিসেবে অংশ নিতে চান। তিনি যোগ করেন, “আমি ফাইনালিস্ট হিসেবে নিজেকে দেখতে পেতাম। এত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসার জন্য আমি বিগবসে ফিরে যাইনি। যদি আমি আবারও ফিরে যাই, আর টিনা যদি তখনও ওই শো-টে টিকে থাকে তবে আমি ওকে ছেড়ে দেব না”। টিনার উপর সরাসরি অভিযোগ এনেছেন সৃজিতা। তাঁর পিছনে তাঁকে নিয়ে নানা খারাপ কথা বলায় যে তাঁর দর্শকের উপর প্রভাব ফেলেছে, এমনটাই মনে করছেন তিনি। আর এর ফলেই আবারও ফিরে এসেছে সেই বহু পুরনো প্রবচন– ‘বাঙালি কাঁকড়ার জাত’!
একদিকে যেমন টিনা ও সৃজিতার ঝামেলা অন্যদিকে এই সিজন প্রথম থেকেই বিতর্কে ভরা। সাজিদ খান এই সিজনে অংশ নিয়েছেন, যার বিরুদ্ধে বলিউডের প্রায় দশ জন মডেল-অভিনেত্রী বিভিন্ন সময়ে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন। সাজিদকে শো থেকে বাদ দেওয়ার ডাকও উঠেছে। র্যাচেল হোয়াইট, অভিনেত্রী সিমরান সুরি, শারলিন চোপড়া, ডিম্পল পালের মতো তারকারা যারা কোনও না কোনও সময়ে সাজিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন তাঁরা সরাসরি প্রতিবাদ করছেন। শারলিন প্রকাশ্যেই অভিযোগ করেন, সাজিদ নাকি যৌনাঙ্গ দেখিয়েছিলেন তাঁকে। তিনি লেখেন, “ওই লোকটি তাঁর গোপনাঙ্গ আমার সামনে মেলে ধরে তা দশের মধ্যে নম্বর দেওয়ার জন্য বলে।” সেই সাজিদই আবার বিগবসে কী করে যেতে পারে সে দাবি তুলে ঘটনায় সলমন খানকেও পক্ষ নেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে শারলিনের তরফে। একদিকে যখন সাজিদকে নিয়ে যখন চলছে চর্চা তখন বয়কটের ডাক তখন এই দুই বাঙালির ঝামেলা– আখেরে যদিও লাভ নির্মাতাদেরই। হাজার হোক টিআরপি-ই শেষ কথা!