খানিক স্বস্তিতে এবার রিয়া চক্রবর্তী। ২০২০ সালে মাদক মামলায় নাম জড়িয়েছিল তাঁর। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই জল্পনা তুঙ্গে। বিভিন্ন তদন্তের মাঝে নার্কোটিক্স সেন্ট্রাল বিউরোর হাতে আসে মাদক মামলা, যেখানে বলিউডের বাঘাবাঘা সেলেবদের নাম উঠে আসতে দেখা যায়। ডাক পেয়েছিলেন বহু সেলেব। যার মধ্যে রিয়া চক্রবর্তী ছিলেন অন্যতম। ৫০ দিনের জেল হেফাজত হয়েছিল রিয়া চক্রবর্তীর। তবে থেকেই তাঁর ওপর লুক আউট নোটিস জারি করা হয়। সিবিআই এই তদন্তের ভার নেওয়ার পরই দেশেই আটকে পড়েন রিয়া চক্রবর্তী। এর মাঝে কেটে গিয়েছে তিনটে বছর। কেরিয়ারে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। একের পর এক শো করছেন। এমনই সময় তাঁর বাইরে অর্থাৎ দুবাইয়ে যাওয়ার প্রয়োজন পরে। কিন্তু দেশ থেকে বাইরে যাওয়ার অনুমতি ছিল না রিয়া চক্রবর্তীর। এবার তা নিয়ে আদালতের দারস্থ রিয়া চক্রবর্তীর উকিল। তাঁর কথায় সিবিআই এই মামলা হাতে নেওয়ার পর কোনও সমন পাঠানো হয়নি রিয়া চক্রবর্তীকে।
পাশাপাশি তিনি এও জানান, কোনও প্রশ্ন করা হয়নি, কিছুদিনের জন্য যদি ছাড় দেওয়া অভিনেত্রীকে। রিয়ার আবেদনে এবার দেওয়া হল সাময়িক ছাড়পত্র, তিন বছর পর বিদেশ যাচ্ছেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক সংস্থার মুখ হয়েছেন তিনি। সেই সুবাদেই এবার তিনি বিদেশের পথে। দুবাইতে যাচ্ছেন রিয়া চক্রবর্তী। আদালতের পক্ষ থেকে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কি এই তিন বছরে দেশ ছেড়েছেন, রিয়ার উত্তর ছিল– না। সবটা শুনে সবটা বিচার করে অবশেষে রিয়ার আবেদনে সারা দিল বম্বে হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ‘রোডিজ’-এ তাঁকে দেখা গেলেও ছবির অফার সেইভাবে নেই বললেই চলে। কেন? রিয়ার যুক্তি, তাঁকে নিয়ে এখনও লোকের মনে এক অজানা ভয় কাজ করছে। সুশান্তের মৃত্যুর পর সাধারণের চোখে তিনিই ছিলেন দোষী। সেই কারণেই, তাঁর কাজ নেতিবাচকতা সৃষ্টি করতে পারেই বলে মনে করছেন অনেকে। তবে তিনি মনে করেন, আগের থেকে পরিস্থিতি এখন অনেকটাই শান্ত। খুব শীঘ্রই সব কিছু আগের মতো হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রিয়া। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি ট্রোলিং হয়, সে কথা নিজেই বলেছেন রিয়া। তাঁকে রোডিজে নেওয়ার পরেও শুরু হয়েছিল বয়কট রোডিজ ট্রেন্ড। যদিও শেষমেশ ভাল টিআরপি নিয়েই যাত্রা শেষ করে ওই রিয়ালিটি শো।