এক বিখ্যাত পানমশলার কোম্পানির মুখ অমিতাভ বচ্চন। সেই কোম্পানির তরফে বিজ্ঞাপনে প্রায়শই দাবি করা হয়, ওই পানমশলা খেলেই ব্যক্তি উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে যেতে পারবে। বিগ-বি’র মতো একজন দক্ষ অবিহ্নেতা কেন পান মশলার বিজ্ঞাপন করবেন? ভক্তের এ প্রশ্নের উত্তরে মুখ খুলেছেন শাহেনশাহ। স্পষ্ট জানিয়েছেন, পয়সা পান, তাই করেন। পাশপাশি তুলে ধরেছেন বেশ কিছু সামাজিক সমস্যাকেও।
এক ভক্ত অমিতাভকে লেখেন, “হ্যালো স্যর, আমার আপনার কাছে একটা প্রশ্ন ছিল, আপনি কেন পানমশালার ব্র্যান্ডের মুখ? তাহলে আপনি আর তাতপুঞ্জি (ছোট শিল্পী)-র মধ্যে কী বা পার্থক্য থাকল?” উত্তরে অমিতাভ বলেন, “যদি ওই বিজ্ঞাপন থেকে কিছু মানুষের উপকার হয়, তাহলে এভাবে ভাবাই উচিত নয়। যদি এটি একটি ইন্ডাস্ট্রি হয় তাহলে আমাদেরও তাকে এভাবেই ভাবা উচিত। অনেকেই ভাবতে পারেন আমার হয়তো এ হেন বিজ্ঞাপন করা উচিত নয়। কিন্তু আমি পয়সা পাই তাই করি।”
পাশাপাশি ওই ব্যক্তিকেও ভবিষ্যতে তাতপুঞ্জি কথাটি ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করেন অমিতাভ। তিনি বলেন, “আপনার থেকে এরকম একটা শব্দ মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়।” একদিকে পানমশলার ব্র্যান্ডে কাজ করার কারণ অন্যদিকে এই মুহূর্তে কেবিসিতে সঞ্চালনা নিয়ে বেজায় ব্যস্ত অমিতাভ।
এ বারের কেবিসি গত বছরের থেকে অনেকটাই আলাদা। গত বছর কোভিড পরিস্থিতিতে লাইভ অডিয়েন্সের সেগমেন্টটির পরিবর্তে আনা হয়েছিল ভিডিয়ো এ ফ্রেন্ড। করোনা পরিস্থিতিতে সবটাই ভার্চুয়াল। কেবিসির ঘরেও সেই ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছিল। তবে এ ব্যাপারে আবারও লাইভ অডিয়েন্সের ব্যবস্থা। শুধু তাই নয়, এ বারে গেম টাইমারেরও এক নতুন নাম দেওয়া হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘ধুক ধুকি জি’। সেটও সাজানো হয়েছে এলইডি দিয়ে। ভার্চুয়াল সিলিং আর গেমপ্লে গ্রাফিক্স তাতে যোগ করেছে অন্য মাত্রা।
গত বছর অডিয়েন্স যখন ছিলেন না লাইভে মন খারাপ হয়েছিল স্বয়ং অমিতাভেরও। সে প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “প্রথম বার স্টুডিয়োতে দর্শক নেই। লাইফলাইনের অপশনেরও পরিবর্তন আনতে হয়েছিল।” তবে এ বারে তিনি খুশি। আবারও সেই চেনা আমেজ আর চেনা মেজাজে শাহেনশাহ। মনের আনন্দ ব্যক্ত করে দিন কয়েক আগেই অমিতাভ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন ছবি। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, “ফিরলাম… ২০০০ সাল থেকে ওই চেয়ারটায় বসছি আমি। ২১ বছর কেটে গেল। জীবনভরের অভিজ্ঞতা। শো থেকে অনেক কিছু পেয়েছি। আমার এই লুকটাও।” কেবিসি’র এই সিজনে সর্বোচ্চ পুরস্কার মূল্য ধার্য করা হয়েছে ৭ কোটি টাকা। সোম থেকে শুক্রবার রাত ৯টায় সোনি টিভিতে দেখা যায় কেবিসি।
সম্প্রতি ২১ বছর পূর্তি উৎযাপন করল ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’। ২০০০ সালে ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’র হাত ধরেই ছোট পর্দায় প্রথম পা রেখেছিলেন বড় পর্দার সুপার স্টার অমিতাভ বচ্চন। অনেক ঘটনা, অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই শোয়ের সঙ্গে। শুরু থেকেই শোয়ের সঞ্চালক অমিতাভ। মাঝে একবারই শোয়ের সঞ্চালনা করেছিলেন শাহরুখ খান। ২০০০ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত স্টার প্লাস চ্যানেলে শোয়ের সম্প্রচার হত। সে সময় প্রযোজনা করত সমীর নায়ারের টিম। ২০১০ সাল থেকে শো দেখা শুরু হয় সোনিতে। প্রযোজকও পালটে যায় ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’র। নতুন প্রযোজক হিসেবে কাজ করতে শুরু করে বিগ সিনার্জি।