গাঁটছড়া ধারাবাহিকে এখন টানটান উত্তেজনার পর্ব বর্তমান। খড়ির বাড়িতে দুর্গাপুজোর আয়োজন তুঙ্গে। তবে সপ্তমীর রাতেই ঘটে যায় অঘটন। পরিবারের সকলেই খড়ির বাড়িতে। ঠিক তখনই নতুন কোন বিপদের মুখে পড়তে হল ঋদ্ধিদের। বাড়িতে ছোট পিসিমনি একা। এই সুযোগে বাড়িতে ঢুকে পড়েন ছোট পিসেমশাই। তারপর! তাঁর উদ্দেশ্যে তো মোটেও ভাল হতে পারে না। সিকিউরিটির থেকে ফোন পাওয়া মাত্রই ছুঁটে চলে যায় ঋদ্ধি ও খড়ি। তবে সিংহরায় পরিবারের ছবিটা তখন বেশ কিছুটা আলাদা। সকলেই যখন রীতিমত ভয় পাচ্ছে ছোটপিসিমনিকে নিয়ে, ঠিক তখনই বাড়িতেল ধুমধুমার পরিস্থিতি। না, ছোট পিসেমশাই নয়, অন্যকারুর তদারকিতে বাড়িতে প্রবেশ করে ডাকাত।
উদ্দেশ্যে গহনার বাক্স। তা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা মাত্রই বনি ধরে ফেলে। বনির হাতে ধরা পড়া মাত্রই খানিকটা চমকে যায় ডাকাত, তবে শেষ রক্ষা বনি করতে পারে না। পিছন থেকে এসে কে যেন তার মাথায় আঘাত করতেই বিষয়টা যায় উল্টে। ততক্ষণে ঋদ্ধি ও খড়ি পৌঁছে গিয়েছে বাড়িতে। পিসেমশাইকে দেখা মাত্রই তাকে সোজা প্রশ্ন ঋদ্ধি, এবার কোন পরিকল্পনা মাথায় নিয়ে এই পরিবারের সর্বনাশ করতে এসেছেন তিনি।
পাশে থাকা পিসিমনি স্পষ্টই জানিয়ে দেন যে এবার তিনি নিজেই দেখেছেন প্রসূনকে। তার কোনও অসৎ উদ্দেশ্য নেই। বরং ডাক্তারের কথা মতো ছেলের চিকিৎসার জন্য তাঁকে ডেকে পাঠানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। সেই মতোই মধ্য রাতে সকলকে লুকিয়ে বাড়ি আসে প্রসূন। সবটা শুনে বুঝতে পারে খড়ি ভুলটা তাদের হয়েচে। পরিবার আবার এক করার চেষ্টাও করে সে। অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলিতে সকলে মিলে মিশে মায়ের সামনে দাঁড়ানোর পালা। তবে দ্যুতি! সে কি পারবে সবটা ভুলে রাহুলকে ক্ষমা করে দিতে! কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি এখন দ্যুতি। উৎসবের দিনেও সে একা। স্টার জলসার গাঁটছড়া ধারাবাহিকের এখন এটাই চমক।