হঠাৎ করেই বদলে গিয়েছিল সম্প্রচারের স্লট। হঠাৎ করেই ধারাবাহিক বন্ধের খবর পৌঁছেছিল কলাকুশলীদের কাছে। কিছুদিন আগেই শেষ হয়েছিল ধারাবাহিকের শুটিং। গতকাল সম্প্রচারিত হল তার শেষ পর্ব। ধারাবাহিক মহাপীঠ তারাপীঠ– গত তিন বছর ধরে দর্শকমনে ছাপ রেখে গিয়েছিল যে ধারাবাহিক।
সব্যসাচীর আর বামা সাজা হবে না। নেই কলটাইমের তাড়াও। বিদায়বেলায় তিনি কি খানিক অভিমানী? সব্যসাচী লেখেন ভাল। লিখলেনও সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁর আবেগমাখা পোস্ট, “এযাবৎ কত সিরিয়াল যে শুরু হয়েছে আর কতই যে শেষ হয়েছে, তা খোদাই জানেন। ২০১৫ সাল থেকে আমার নিয়মিত স্টুডিওপাড়ায় যাতায়াত, টালিগঞ্জ মোড়ের মাথায় যে আমি আজ অবধি কতগুলো ধারাবাহিকের হোর্ডিং পাল্টাতে দেখেছি তা নিজেই গুনে শেষ করতে পারবো না। আসলে সময়ের সাথে হোর্ডিং পাল্টায়, মুখ এক থাকলেও পরিচয় পাল্টায়, পুরোনো পোস্টার ছিঁড়ে নামিয়ে নতুন পোস্টার সাঁটা হয়। নারকেল ফাটিয়ে, ক্যামেরা পুজো করে যে কাজ শুরু হয়, সময়ের সাথে সবাই তা ভুলেও যায়। এটাই বাস্তব, এটাই জীবন।”
থামেননি তিনি। লিখেই চলেছেন। কোথাও গিয়ে কি খানিক অভিমানী অভিনেতা? তিনি আরও যোগ করেন, “গতকাল অন্তিম পর্ব দেখে আমায় অনেকেই মেসেজ করেছেন, ধন্যবাদও জানিয়েছেন। আমি অবশ্য তাতে একটু অবাকই হয়েছি, সকাল এগারোটায় এতজন যে দেখবে ভাবতে পারিনি।… আমি বরাবরের মতই, নিমিত্ত মাত্র।” গত ১৬ ফ্রেব্রুয়ারি শেষ হয়েছিল ধারাবাহিকটির শুটিং। সেই দিনেও আবেগঘন এক পোস্ট করেছিলেন অভিনেতা।
তবে অভিমান যেন ঝরে পড়েছিল গত ৪ ফেব্রুয়ারি, যেদিন শেষ বারের মতো রাত দশটার স্লটে সম্প্রচারিত হয়েছিল ধারাবাহিকটি। লিখেছিলেন, ‘খারাপ সময়ে সামনে দাঁড়িয়ে লড়ে যেতে হয়, আর ভালো সময়ে চুপিসারে সরে যেতে হয়– জীবন আমায় এইটুকুই শিখিয়েছে।” গত বছরের কথা। টিআরপির তালিকায় হঠাৎ করেই পিছিয়ে পড়ে স্টার জলসা। বারংবার স্লট পরিবর্তনেও হয়নি লাভ। নতুন ধারাবাহিকও সিংহাসন ফিরিয়ে দিতে পারেনি। তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে ছিল জি বাংলা। যদিও মহাপীঠ তারাপীঠের বেলাতে দেখা গিয়েছিল অন্য চিত্র। বহুবার স্লট লিডার হয়েছিল ধারাবাহিকটি। সেই ধারাবাহিক হঠাৎ করে শেষ হয়ে যাওয়ায় মন খারাপ ভক্তদেরও। মন খারাপ সব্যসাচীরও।