ঠিক কী ঘটে মিঠাইয়ের সঙ্গে! সকলের সঙ্গে পায়ে পপা মিলিয়ে সিদ্ধার্থও মিঠাইকে খুঁজতে বেরিয়ে পড়ে। যেখানে কেউ যাবে না এমন কোনও জায়গার সন্ধান করতে করতেই তাঁর চোখে পড়ে হুইল চেয়ারে বসে থাকা একটি মেয়ের পায়ের আঙুল। সে চিনতে পারে এটা মিঠাই। দেখা মাত্রই ঝাঁপিয়ে পড়ে সিদ্ধার্থ, ততক্ষণ হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে ছদ্মবেশী আদিত্য আগরওয়াল। মুহূর্তে ঝড় ওঠে সিদ্ধার্থের মনে, আদৌ মিঠাই বেঁচে আছে তো! বাড়ি খবর দেওয়া মাত্রই পিঙ্কি আঁচ করে এটা তার দাদার কাজ।
উল্টো দিকে সুযোগ বুঝে তোর্সা এসে চরম অপমান করতে থাকে মিঠাইকে। সমস্তটা বুঝতে পেরেও সে চুপ করে থাকে। জানতে চায় তার ভুল এতে কোথায়! অন্য দিকে মিঠাইকে উদ্ধার করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় সিদ। তা দেখা মাত্রই সকলের চোখে জল। মিঠাইয়ের জ্ঞান না ফিরলেও ডাক্তার জানায়, মিঠাই এখন অনেকটা ভাল আছে। তাড়াতাড়ি তাঁর জ্ঞান ফিরে আসবে।
করবা চৌথের দিন কিডন্যাপ হয় মিঠাই। খুব দেরি হওয়ার পর সিদ্ধার্ত নিজেই স্থির করে যে এবার মিঠাইকে আনতে যাওয়া উচিত। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে মিঠাইয়ের শাড়ি ও ফোন পড়ে রয়েছে সেখানে। মনে সন্দেহ জাগে, এমন সময় সামনে এসে উপস্থিত হয় হালুম ও হালুমের মা। তারা জানায় মিঠাই আদিত্য আগরওয়াল বলে কারুর খোঁজ করছিলেন। সিদ্ধার্থর কাছে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে নিশ্চিত মিঠাইয়ের কোনও বড় বিপদ। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় রুদ্র। এরপর থেকেই শুরু হয় খোঁজা। অবশেষে মিঠাই ফেরে ঘরে। বজড বিপদ কাটিয়ে এখন সকলে সমস্যার সমাধান খুঁজছে মোদক পরিবার।