পিলুর পরিবারে এখন রঞ্জা ও মোল্লারের বৌভাতের অনুষ্ঠান। সকাল থেকে ব্যস্ততা ভাত কাপড়ের। বাড়িতে সবটাই খুব সুষ্ঠুভাবে মিটলেও কোথাও গিয়ে যেন দাদু আজও মনে করে রঞ্জা শেষ মুহূর্তে কিছু না কিছু গন্ডগোল করবে। ভাত কাপড়ের যখন সময় আসে তখন দেখা যায় সবকিছু নিয়ম মেনেই পালন করছে রঞ্জা ও মল্লার। মল্লার রঞ্জা-কে ভরসা দিয়ে জানায় কেবল ভাত কাপড়ের দায়িত্বই নয় পাশাপাশি তার ভবিষ্যৎ তার কেরিয়ার তার স্বপ্ন সমস্ত দায়িত্ব সে নিজের কাঁধে নিচ্ছে।
সবটা দেখে পরিবারের সবাই এক কথায় অবাক, এক বাক্যে বলে ওঠে রঞ্জা পাল্টে দিয়েছে মল্লারকে। এরপরে দাদুর সন্দেহকেই সত্যি করে রঞ্জা ভাত কাপড়ের দায়িত্ব নিতে হাজির। মল্লারের জন্য সে একটি ঘড়ি ও পাঞ্জাবি আগে থেকেই কিনে রেখেছিল। ভাত কাপড়ের থালায় তা বসিয়ে দিয়ে মল্লারের হাতেও তা তুলে দেয় এবং মল্লারের সুখ স্বাচ্ছন্দ ভাত-কাপড়ের দায়িত্ব সেও নেয়। সকলেই অবাক হয়ে প্রশ্ন করে এটা কেমন নিয়ম। রঞ্জা নিজেই মোল্লাকে মনে করিয়ে দেয় সকালবেলা সেই বলেছিল বিয়ে মানে পার্টনারশিপ দুজনে একসাথে পথ চলা, যদি তাই হয় তাহলে সমস্ত দায়িত্ব ভাগ করে নেবার বেলা কেবল ছেলেরাই কেন নিজের কাঁধে সবটা তুলে নেবে।
এরপর মল্লার নিজেই দাদুকে সমস্তটা বুঝিয়ে বলে, জানায় মেয়েরা পুরুষদের থেকে অনেক অনেক বেশি ক্ষমতা রাখে, কাজেই এই দায়িত্ব তো সে নিতেই পারে। এরপর আসে বৌভাতের মধ্যাহ্ন ভোজনের পালা। সমস্ত রান্না নিজেই করেছে বলে যখন জানায় তার শাশুড়ি মা তখনই সে প্রতিবাদ করে সত্যিটা সবার সামনে তুলে ধরে। না কেবল সেই নয়, সঙ্গে হাত লাগিয়েছে মল্লারও। এভাবেই যখন ভাল মন্দ মিশিয়ে পিলু সংসারে খানিক হলেও শান্তি স্বস্তি ফিরেছে তখনই অবসরে সকলের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে। বিন্দির জেল থেকে পালিয়ে যাবার খবর। আবারো কোন নতুন ঝড় ধুয়ে আসবে না তো পরিবারের মাথায়? উত্তর মিলবে আগামীতেই জি বাংলার ধারাবাহিক পিলুতে।