পিলুর সঙ্গে রঞ্জার কথা হয় আগেই। পিলুর মুখ থেকে মল্লারের সকল সত্যি সে জানতে পেয়ে যায় বহু আগে। কিন্তু বিবাহ বিচ্ছেদের প্রসঙ্গে আঘাত পেয়েছে বাবা। তা রঞ্জা মুখের ওপরই মল্লারকে জানিয়ে দেয়। জানিয়ে দেয়, সে কোনও মতেই এখন সিদ্ধান্ত বদল করতে পারবে না। আশীর্বাদের দিন সকালে রঞ্জার মুখোমুখি মল্লার। ঠিক কী করবে এখন রঞ্জা। সত্যি কি সে পারবে সমস্ত ভুলে আবারও সংসার শুরু করতে! শেষ বেলায় ঠিক কী বোঝাতে এসেছে মল্লার! তাঁকে বাড়িতে দেখে চমকে যায় রঞ্জা। সত্যি কি মল্লারের মনের কথা শুনতে পাবে রঞ্জা! কী হবে এই সম্পর্কের পরিণতী!
তবে বিয়ের পর কী সত্যি সুখী ছিল রঞ্জা! একাধিকবার বচসায় জড়িয়ে পড়া, মল্লারের সঙ্গে নানা মত বিরোধ, সবটাই যেন তাকে পরতে-পরতে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াত। তবে একটা সময়ের পর তাদের মধ্যেও সম্পর্কের সমীকরণ পাল্টে যেতে থাকে। তাদের মধ্যেও কোথাও গিয়ে যেন ঠিক-ভুলের হিসেবটা সহজ হতে থাকে। তবে সেই সুখ বেশি দিনের ছিল না। রঞ্জা ও মল্লার একে অন্যের কাছাকাছি আসার কয়েকদিনের মধ্যেই ওঠে সম্পর্কের ঝড়। অতীতের একাধিক সম্পর্কের সমস্যা বর্তমানে আছড়ে পড়ে।
মল্লারের জীবনের সব রঙ হারিয়ে যায় পলকে। মাথায় লাগে দাগি আসামীর তকমা। কোন পথে যাবে যে! কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে সে! তার জন্য রঞ্জার জীবনে ঠিক কতটা ক্ষতি হতে পারে! সবটা ভাবতে গিয়ে সে স্থির করে রঞ্জাকে ডিভোর্স দেবে। সেই মত কাগজপত্রও পাঠিয়ে দেয় রঞ্জাকে। সবটা দেখে রঞ্জার অনত্র বিয়ে ঠিক করে বসে তার বাবা। তবে রঞ্জা থেকে শুরু করে পিলু, সকলেই বুঝতে পারে যে, এই সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। রঞ্জা এতে ভাল থাকবে না। এটা মল্লারের অভিমানের সিদ্ধান্ত। পিলুও হাত জোড় করে মা দুর্গার কাছে এরই সমাধান চায়। ঠাকুর কী যাওয়ার আগে কোনও পথ দেখাবে না! কী হবে রঞ্জা-মল্লারের! এই মর্মেই এখন দর্শকদের নজর পিলু ধারাবাহিকে।