বুধবারই প্রেমিক আদিল খানের সঙ্গে বিয়ের ছবি ফাঁস হয়ে গিয়েছিল রাখী সাওয়ান্তের। ছবিতে দেখা গিয়েছিল আইনি বিয়ে সারছেন রাখী ও আদিল। এখানেই শেষ নয়, ফাঁস হয়ে যায় নিকাহনামার ছবিও। এমনকি বিয়ের ভিডিয়োও প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু এর পরেও রাখীর স্বামী আদিল দুরানির সঙ্গে সংবাদমাধ্যম যোগাযোগ করলে বিয়ের কথা তিনি পুরোপুরি অস্বীকার করেন। জানান, বিয়ের গোটা ঘটনাই নাকি আদপে এক মিথ্যে। যা শুনে সংবাদমাধ্যমের সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন রাখী। অঝোর ধারায় কাঁদতে কাঁদতে রাখীর প্রশ্ন কেন সব সময় এমনটা হয় তাঁর সঙ্গে? কেন প্রতিবার আঘাত পেতে হয় তাঁকে?
রাখীর কথায়, “সাত আট মাস যাবত আমি চুপ ছিলাম। আদিলই বলতে বারণ করেছিল। কিন্তু আমি যখন বিগবস মরাঠিতে গিয়েছিলাম তখন অনেক কিছু হয়েছে। আমি হারাম করিনি। আমি হালাল করেছি। জানি না বিয়ের কথা কেন স্বীকার করছেন না আদিল? আমি কী ভুল করেছি?” রাখী জানান, এ দিন সকাল থেকে আদিলকে ফোন করেও তিনি পাননি। রাখীর মা হাসপাতালে ভর্তি। ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করছেন তিনি। এমতাবস্থায় আদিলও তাঁদের বিয়েকে মিথ্যে বলে দাবি করেছেন। সব মিলিয়ে রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন রাখী। তাঁর কথায়, “বিয়ের পর থেকে এতটুকু সুখ পেলাম। নিজের নাম বদলে দিলাম। ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম গ্রহণ করে নিলাম। বিয়ের শংসাপত্র রয়েছে, নিকাহনামা রয়েছে, মৌলানা উপস্থিতিতে বিয়ের যাবতীয় উপাচার পালন করা হয়েছে, তারপরেও কেউ কী করে বিয়ের কথা এভাবে অস্বীকার করতে পারে? আমি ভাবতে পাচ্ছি না।”
এর আগে রীতেশ নামক এক ব্যক্তির কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন রাখী। বিগবসের বাড়িতে সেই রীতেশের সঙ্গে সবার আলাপও করিয়ে দেন তিনি। তবে তাঁদের সেই সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি। কারণ, রীতেশের আগেও বিবাহিত ছিলেন। বিগবস ছাড়ার পরেই তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এর পরেই আদিল খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে রাখীর। অনেকেই সে সময় দাবি করেছিলেন, রাখীর নাম ব্যবহার করে বলিউডে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে চাইছে ওই ব্যক্তি। যদিও রাখী তা মানতে চাননি। উল্টে আদিলকে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু এই পরিণতির কী? সেই প্রশ্নই এখন সকলের মনে।