তনুশ্রী দত্তা ও রাখী সাওয়ান্ত, গত এক সপ্তাহ ধরে এই জুটির মধ্যে আইনি লড়াই বর্তমান। আদিল দুরানি সঙ্গে বিয়ে নিয়ে রাখীর অশান্তি যখন তুঙ্গে, তখনই মাঠে নেমেছিলেন তনুশ্রী দত্তা। জানিয়েছিলেন, রাখির স্বরূপ তিনি সামনে আনবেন। আর কী সেই স্বরূপ, তনুশ্রী দত্তের কথায় ২০১৮ সালে তাঁর সঙ্গে যা ঘটেছে, তার জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী ছিলেন রাখী সাওয়ান্ত। এই মর্মে তিনি একটি লিখিত অভিযোগও করেছেন রাখী সাওয়ানদের নামে। সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানিয়েছিলেন, তাঁর কেরিয়ার নষ্টের পিছনে রয়েছেন রাখী। এবার আর মৌখিক অভিযোগ কিংবা বচসা নয়, সরাসরি ওশিওয়ারা পুলিশ স্টেশনে গিয়ে লিখিত FIR করলেন তনুশ্রী দত্তা।
এরপর তনুশ্রী দত্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন, ”যে মানসিক যন্ত্রণা দিয়ে গিয়েছি আমি ২০১৮ সালে, MeToo আন্দোলনের সময়, তার জন্যই আমি এখানে এসেছি রাখির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে। বিবিধ কারণে করা হয়েছে এই FIR. আমার কাছে প্রতিটা প্রমাণের তথ্য রয়েছে, যেখানে রাখি আমার বিরুদ্ধে কখন কী বলেছে। এবার আর পার পাবেন না রাখি। কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তাঁরা দ্রুত রাখির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবেন। আমি তাঁদের সমস্ত অতীতের তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছি।”
ভারতীয় দণ্ডবিধি ৫০৯ ধারা চাপিয়েছেন তিনি রাখী সাওয়ান্তের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে এবার মুখ খুললেন রাখি সামন্তের আইনজীবী। তাঁর কথায় এটি জামিন যোগ্য অভিযোগ। লিখিত অভিযোগে তনুশ্রী জানিয়েছেন তিনি রাখীকে জেলে পাঠিয়েই ছাড়বেন। রাখীর আইনজীবীর কথায় তিনিও দেখে নেবেন কীভাবে এটা সম্ভবপর হয়। একদিকে যেমন খোলা চ্যালেঞ্জ তনুশ্রীর দিকে ছুঁড়ে দিলেন রাখী সাওয়ান্তের আইনজীবী, তেমনই আবার রাখী সাওয়ান্ত এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন। তিনি বললেন, ‘আমি ওঁর নামও মুখে নিতে চাই না। তবে একটা কথা বলতে পারি, চার বছর ধরে কী করছিলেন তিনি? চার বছর পর হঠাৎ এখনই কেন মনে পড়েছে। যে কোনও অন্যায়ের পর এক বছরের মধ্যে তার অভিযোগ দায়ের করতে হয়। এক্ষেত্রে চার বছর কেটে গিয়েছে কীভাবে এই বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন তনুশ্রী, বুঝতে পারছেন না রাখী সাওয়ান্ত।’