মীনাক্ষী শেষাদ্রি (Meenakshi Seshadri)। প্রায় ২৭ বছর দেশ আর সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি-দুইয়ের থেকে শত দূরে। ১৯৯৫ সালে হরিশ মাইসোরকে বিয়ে করে তিনি দেশে থেকে দূরে। দুই সন্তানের জননী তিনি। সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি থেকে শুধু দূরেই নন, সিনেমা সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে এর মধ্যে তাঁর কোনও বক্তব্যও দেননি। তবে দেরিতেই সই, এবার তিনি ফিরেছেন দেশে। ফিরেই সোজা রিয়ালিটি শোয়ের মঞ্চে। তিনি দুর্দান্ত নাচতেন। কিন্তু এতদিন পর ফিরলেন সঙ্গীতের মঞ্চে। ইন্ডিয়ান আইডল-১৩-র মঞ্চে সঞালক আদিত্য নারায়ণ ডেকে নিলেন তাঁকে। ব্যাকগ্রাউন্ডে তখন বাজছে ‘হিরো’ সিনেমার জনপ্রিয় গান ‘ডিংডং ও বেবি সিংসং’। বিচারকের আসন থেকে বিশাল দদলানি, নেহা কক্কড়, হিমেশ রেশমিয়া দাঁড়িয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা করছেন। নিজের প্রথম ছবির গানে মুগ্ধ নায়িকাও খুশি মঞ্চে এসে।
‘দামিনী’ ছবির টাইটেল সং গাইলেন একজম প্রতিযোগী তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে। গান শুনে মুগ্ধ মীনাক্ষী হঠাৎ ফিরে গেলেন ১৯৯৩ সালে। তিনি হঠাৎ কথা বলতে বলতে অভিযোগ আনলেন ছবির পরিচালক এবং লেখকের বিরুদ্ধে! কী বললেন মীনাক্ষী? প্রথমে প্রশ্ন করলেন দামিনী কার ছবি? উত্তর ‘আপনার’। এবার সেই মোক্ষম প্রশ্ন, ছবিতে বিখ্যাত সংলাপ কার? আদিত্যসহ সকলেই বলে উঠলেন ‘সানিপাজির’ (সানি দেওল)। হ্যাঁ, এই বার দামিনীর অভিযোগ করলেন পরিচালক এবং লেখকের বিরুদ্ধে। বললেন, “দামিনী আমার নাম ছিল।কিন্তু সংলাপ কার মনে রইল, সানিপাজির। আচ্ছা আমায় যদি ওই সংলাপ দেওয়া হতো, আমি কি বলতে পারতাম না!”
এই শনিবার-রবিবার পুরো পর্ব জুড়ে থাকবেন মীনাক্ষী। তাঁর ভক্তরা এতদিন পর তাঁকে পর্দায় পেয়ে স্বভাবতই মুগ্ধ হবেন। পুরো এপিসোড জুড়ে আরও নানা গল্প শোনার অপেক্ষায় ৮০-র দশকের দর্শকরা। ৯০-এর দশকে কুমার শানুর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে, এমন খবর রটেছিল। তবে তারপর তিনি বিয়ে করে চলে যান বিদেশে। শানুও অন্যত্র বিয়ে করে নেন। গানের সঙ্গে অমিতাভ বচ্চনের নায়িকার আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। তাই বোধহয় এই মঞ্চেই তিনি এলেন। এবার কি তাঁকে নিয়মিত বলিউডে কাজ করতে দেখা যাবে, যেমন তাঁর সমসাময়িক মাধুরী দীক্ষিত চুটিয়ে কাজ করছেন। যেমন ফিরে এসেছেন রবিনা ট্যান্ডন, আয়েষা জুলকা, পূজা ভাট। তিনিও কি পুরোপুরি কাজ করবেন সিনেমা বা ডিজিটাল মাধ্যমে। কিংবা কোনও ডান্স রিয়ালিটি শোয়ের বিচারকের আসনে দেখা যাবে। প্রশ্ন অনেক, সব উত্তর পাওয়া যাবে সময়েই। সত্যি তো সময়ের আগে কবেই বা কী হয়েছে!