সন্দীপ্তা সেন– পরিচিত মুখ তিনি। তাঁর নাচের সুখ্যাতি বহু দিনের। তবে সেই নাচ নিয়ে স্মৃতিচারণ করেই কটাক্ষর মুখে পড়তে হল তাঁকে। কী এমন লিখেছিলেন তিনি? গুরুপূর্ণিমার দিন গুরুকে স্মরণ করে নাচের একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছিলেন তিনি। সেখানেই তিনি লেখেন, “নাচে আমার প্রথম হাতেখড়ি আড়াই বছর বয়সে। আমার জেঠিমার কাছে। তখন মনে হয় ক্লাস সেভেনে পড়ি। আমার জেঠিমাই এই নাচটা শিখিয়ে ছিলেন। এত বছর পর আরেকবার চেষ্টা করলাম।” তিনি আরও লেখেন, “যে সমস্ত শিক্ষক আমায় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন তাঁদের সবাইকে আমার প্রণাম। শুভ গুরু পূর্ণিমা।” সন্দীপ্তার ওই পোস্ট দেখার পর থেকেই শুরু হয় বিভ্রান্তি। নায়িকার কোট তুলে ধরেই অনেকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি কী করে আড়াই বছর বয়সে ক্লাস সেভেনে পড়তে পারেন? তবে সন্দীপ্তার অনুরাগীরা দিয়েছেন পাল্টা যুক্তি। তাঁরা লিখেছেন, নায়িকা বোঝাতে চেয়েছেন তিনি আড়াই বছরে নাচ শেখা শুরু করেছিলেন। আর যখন ক্লাস সেভেনে পড়েন তখন এই নাচটি শেখেন। না বুঝে সন্দীপ্তাকে অকারণে ট্রোল করা হচ্ছে এমনটাই দাবি তাঁদের। এ তো গেল কটাক্ষ-ট্রোলিংয়ের আখ্যান। নায়িকার কাছে এক বিশেষ দাবি জানিয়েছেন অভিনেত্রী ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, “এবার এক প্রতিষ্ঠানের প্ল্যান কর। প্রকৃত নাচের শিক্ষা দেওয়ার প্রতিষ্ঠান খুবই কম। কিছু মানুষের তো পা-ই নড়ে না, তাঁরাও ডান্সার, তাঁরাও শেখান। তোর মতো নাচের শিক্ষাগুরু খুব দরকার।”
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই সন্দীপ্তাকে নিয়ে ভুল খবর রটে। রটে অভিনেতা কৌশিক রায়ের সঙ্গে নাকি নতুন ধারাবাহিকে দেখা যাবে তখন। সে সময় টিভিনাইন বাংলাকে অভিনেত্রী জানান, যা রটেছে তা একেবারেই ঠিক নয়। তিনি বলেন, “না তো কোনও অফার এসেছে, না আমি ধারাবাহিকটি করছি। আমি সত্যি জানি না, কেন আমার নামে এটা রটেছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমি আগেও বলেছি, আবারও বলেছি, আমি মেগা আপাতত কর তে চাইছি না। ওটিটিতে পরপর কাজ করছি। সেটাই আগামী বেশ কিছু সময় ধরে করতে চাই।” এই মুহূর্তে হাতে বেশ কিছু ওয়েব সিরিজের কাজ রয়েছে তাঁর। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত সিরিজ ‘নষ্টনীড়’-এও তাঁর কাজ বেশ জনপ্রিয় হয়েছে।