২০ বছর বয়সি তুনিশা শর্মার মৃত্য়ু সক্কলকে নাড়িয়ে দিয়েছে ভীষণভাবে। ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর নাকি আত্মহত্যা করেছিলেন তুনিশা। যদিও সেটি আত্মহত্যা না অন্য কিছু, তা এখনও প্রমাণিত হয়নি। ‘আলি বাবা: দাস্তন-এ-কবুল’ ছবির সেটেই তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সেই দিনই গ্রেফতার করা হয় তুনিশার প্রাক্তন প্রেমিক শিজ়ান খানকে। তুনিশার মা বনিতা শর্মার বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশি হেফাজতে আছেন শিজ়ান। তাঁর অভিযোগ, মেয়েকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছিলেন শিজ়ানই। কেবল মা নন, তুনিশার পরিবারের সদস্য পবন শর্মা এবং সঞ্জীব কৌশলের অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার হন শিজ়ান।
বনিতা অভিযোগ তুলেছিলেন, তাঁর মেয়ে তুনিশাকে ঠকিয়েছিলেন শিজ়ান। তাঁকে ইসলাম ধর্মাবলম্বী করে তুলতে চেয়েছিলেন তিনি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে শিজ়ানের মা কেহেকশান ফাইজ়ি, দুই বোন ফলক-শাফাক এবং আইনজীবী শৈলেন্দ্র মিশ্র ২ জানুয়ারি একটি সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন। সাংবাদিকদের সামনে শিজ়ানের উপর ওঠা সমস্ত অভিযোগকে নস্যাৎ করেছে অভিনেতার পরিবার। তাঁরা এও বলেছেন, যে সঞ্জীব কৌশল তুনিশার মামা হিসেবে পরিচয় দেন বাইরের দুনিয়ায় কাছে, তিনি আসলে অভিনেত্রীর সৎ বাবা।
এরপর সঞ্জীব কৌশলের প্রতিক্রিয়াও পাওয়া যায়। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন “তুনিশার বয়স ২০। খুব অল্প বয়সে কাজ করতে শুরু করেছেন উনি। কাউকে ওঁর টাকাপয়সার খেয়াল রাখতেই হত। তবে ওঁ নিজের ইচ্ছা মতো অর্থ ব্যয় করতে পারত। ওরা তো এটাও বলেছে, তুনিশাকে নাকি জোর করে কাজ করতে বলা হয়েছিল। ওঁ অভিনয় করতে চাইত। সেটাই ছিল ওঁর প্যাশন। ওঁ কাজ করতে চাইত সবসময়। ওঁকে আমরা সব সময় ভাল কাজ করার জন্যই অনুপ্রেরণা দিয়েছি।”
তিনি আরও বলেছেন, “লোকে বলে তুনিশা নাকি ১৬ কোটি টাকার সম্পত্তি রেখে গিয়েছে। আপনাদের তবে জানাই – ওর গাড়ি, ল্যাপটপ… সবই ইন্সটলমেন্টে কেনা। আমি ওকে আমার নিজের মেয়ে ঋত্বিকার মতো ভালবেসেছি সবসময়। এই পরিবারকে আমি ১০-১২ বছর ধরে চিনি। আমরা তুনিশা এবং ঋত্বিকার জন্মদিন একসঙ্গে পালন করেছি। মানুষ যা খুশি তাই বলতে পারে। কিন্তু আমরা সংবাদমাধ্যমের সামনে শীঘ্রই মুখ খুলব। এবং সেখানেই বলব কে সৎ বাবা এবং সৎ মেয়ে। ওরা কেন বলছে না ২৪ ডিসেম্বর (ঘটনার দিন) ১৫ মিনিট তুনিশা শিজ়ানের মধ্যে কী হয়েছিল?”