Shehnaaz Gill: রয়েছেন কাছাকাছিই, আজও এভাবেই শেহনাজের হাত ধরে রাখেন সিদ্ধার্থ
Shehnaaz Gill: গত ২ সেপ্টেম্বর ঘুমের মধ্যেই প্রয়াত হন সিদ্ধার্থ শুক্লা। প্রথমে শোনা গিয়েছিল সিদ্ধার্থের খবর শোনা মাত্রই শুট বন্ধ করে হাসপাতালে ছুটে যান শেহনাজ।
কাছাকাছিই রয়েছেন তাঁরা। এপার ওপারের গন্ডী অতিক্রম করে দুজনেই রয়েছেন দুজনাতেই। শেহনাজের ওয়ালপেপার অন্তত আভাস দিচ্ছে তেমনটাই। সম্প্রতি বিমানবন্দরে পাপারাজ্জির ক্যামেরায় ধরা পড়েন শেহনাজ। ধরা পড়ে শেহনাজের হাতে ধরে থাকা তাঁর মুঠোফোনটিও। সামাজিক মাধ্যমে সেই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই নেটিজেনদের নজর এড়ায়নি শেহনাজের ওয়ালপেপারটি। হাতে হাত, শক্ত করে ধরে রাখা… সারা জীবন না ছাড়ার প্রতিশ্রুতি। সেই ছবিই এখনও হৃদয়ের কাছাকাছি নিয়ে ঘোরেন শেহনাজ। নশ্বর উপস্থিতি না থাকুক মানসিক দিক দিয়ে এখনও এক তাঁরা। এখনও বুঁদ একে অন্যেতে।
সিডনাজের যে ছবি এখনও শেহনাজের ওয়ালপেপারে রয়েছে তা বিগবসের পর তাঁদের প্রথম প্রজেক্ট ‘ভুলা দুঙ্গা’র একটি স্টিল ছবি। ভক্তরা আরও একবার আবেগ আপ্লুত। কারও চোখে জল, কেউ বা হাতড়াচ্ছেন স্মৃতি। অথচ, এই কয়দিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফোটোশুটের ছবি পোস্ট করায় ট্রোল্ড হয়েছিলেন শেহনাজ। তিনি নাকি সিদ্ধার্থকে ভুলে গিয়েছেন এমনটাই নিদান দিয়েছিল নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। তবে এই ছবি প্রমাণ করে দিচ্ছে সিদ্ধার্থ-স্মৃতি সঙ্গে নিয়েই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছেন শেহনাজ। গত ২ সেপ্টেম্বর ঘুমের মধ্যেই প্রয়াত হন সিদ্ধার্থ শুক্লা। প্রথমে শোনা গিয়েছিল সিদ্ধার্থের খবর শোনা মাত্রই শুট বন্ধ করে হাসপাতালে ছুটে যান শেহনাজ। যদিও পরে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম দাবি করে শেহনাজের কোলে মাথা দিয়েই নাকি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছিলেন সিদ্ধার্থ। অভিনেতা ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু জন জানান, ১ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বুধবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বাড়ি ফেরেন সিদ্ধার্থ। শরীর ভাল লাগছিল না তাঁর। তাঁর মা ও শেহনাজ দুজনেই সে সময় বাড়িতেই ছিলেন।
প্রথমে লেবুর জল ও পরে সিদ্ধার্থকে আইসক্রিম খেতে দেন তাঁরা। কিন্তু তা কাজে লাগে না। অস্বস্তি বাড়তে থাকে ক্রমশ। এর পর শেহনাজ ও তাঁর মা তাঁকে আরাম করতে বলেন। কিন্তু ঘুম আসছিল না কিছুতেই। শেহনাজকে পাশে থাকতে বলেন সিড। পিঠে হাত বুলিয়ে দিতে বলেন। শেহনাজ তাই করতে থাকেন। শেহনাজের কোলে মাথা দিয়েই ঘুমিয়ে পড়েন সিদ্ধার্থ, সূত্র বলছে তেমনটাই। ঘুমিয়ে পড়েন শেহনাজও। পর দিন সাতটা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে শেহনাজ দেখেন ঠিক একই রকম ভাবে ‘ঘুমিয়ে’ আছেন সিদ্ধার্থ। তিনি ডাকতেই বুঝতে পারেন, সিদ্ধার্থ সাড়া দিচ্ছেন না। ভয় পেয়ে পরিবারের বাকিদের ডাকতে ছুটে যান তিনি। ফোন করা হয় পারিবারি ডাক্তারকেও। তিনি এসেই বুঝতে পারেন সিদ্ধার্থ নেই। নিয়ে যাওয়া হয় কুপার হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
বিগবস ১৩তে বিজয়ী হয়েছিলেন সিদ্ধার্থ। ওই শো’য়ে সিদ্ধার্থ ও শেহনাজের গিলের কেমিস্ট্রি ভালবেসেছিল দর্শক। যদিও তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে এ কথা স্বীকার করেননি তাঁরা। তবুও তাঁদের একসঙ্গে সময় কাটানো, নানা মুহূর্তকে ভালবেসে অনুরাগীরা তাঁদের ভালবেসে নাম দিয়েছিল ‘সিডনাজ’। সিদ্ধার্থের মৃত্যুর পর বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়, সিডনাজের নাকি বাগদানও হয়েছিল। এ বছরেরই প্ল্যান ছিল বিয়ের। যদিও সেই পরিকল্পনা অপূর্ণই থেকে গেল।
View this post on Instagram