জন্মদিনে রিটার্ন গিফট দেওয়ার রীতি অনেকেরই রয়েছে। সে হয়তো আপনারা জানেন। বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্যামৌপ্তি মুদলিও এ বার সেই পথে হাঁটলেন। অনুরাগীদের সঙ্গে জন্মদিন সেলিব্রেট করতে চেয়েছিলেন তিনি। অনুরাগীদের শুভেচ্ছায় তিনি আপ্লুত। এ বার সকলের জন্য চমৎকার একটি ভিডিয়ো তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলেন। এ যেন শ্যামৌপ্তির দেওয়ার জন্মদিনের রিটার্ন গিফট।
শ্যামৌপ্তি লিখেছেন, ‘আমি আমার জন্মদিনটা তোমাদের সকলের সঙ্গে সেলিব্রেট করতে চেয়েছিলাম। সে কারণে এই ভিডিয়োটা তোমাদের জন্য তৈরি করেছি। আমার জন্মদিন তোমরা এতটা স্পেশ্যাল করে তুলেছো, আমি আপ্লুত। কখনও কখনও অভিনেতা হিসেবে নিজেকে স্নেহধন্য মনে হয়। অভিনেতা না হলে এত ভালবাসা, আশীর্বাদ, সমর্থন হয়তো এত কম সময়ের মধ্যে পেতাম না। আমার প্রতিটা দিন এতটা স্পেশ্যাল করে তোলার জন্য অনেক ভালবাসা।’
এক সময়ের জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘বাজলো তোমার আলোর বেণু’-তে প্রধান চরিত্রে শ্যামৌপ্তির অভিনয় দেখেছেন দর্শক। শেষ ‘ধ্রবতারা’ ধারাবাহিকে ‘তারা’র ভূমিকায় তাঁকে দেখছেন। কবে ফের নতুন কাজে দেখা যাবে শ্যামৌপ্তিকে? সে প্রসঙ্গে অভিনেত্রী আগেই এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “পরের কাজে ইমেজ ব্রেক করতে হবে। এতদিন ধরে একটা চরিত্রে অভিনয় করলাম। অবশ্যই এর থেকে আলাদা কিছু করতে চাইব। নিজেকে গ্রুম করতে হবে। কাজ তো করবই, কিন্তু নিজের মধ্যে সেই ফ্রেশ ব্যাপারটা তৈরি করতে হবে।”
ওটিটি প্ল্যাটফর্মে এখন বিভিন্ন রকমের কনটেন্ট নিয়ে কাজ হচ্ছে। এ বার কি তবে ওটিটির কাজ করবেন শ্যামৌপ্তী? অভিনেত্রী স্পষ্ট বলেছিলেন, “ওটিটিতে অনেক রকম কনটেন্ট হচ্ছে, ঠিকই। কবে আমার কিছু ভাল লাগা, খারাপ লাগা আছে। নিজস্ব কিছু পছন্দ, আইডিওলজি রয়েছে। সেগুলো মিলে গেলে অবশ্যই কাজ করব। শুধুমাত্র ওটিটিতে কাজ করতে হবে বলে কাজ করব না।”
পাঠভবন থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন শ্যামৌপ্তী। মনস্তত্ত্ব নিয়ে পড়াছেন। সে প্রসঙ্গে তিনি শেয়ার করেছিলেন, “প্রথমে ভাবতাম একটা মানুষ সামনে দাঁড়িয়ে থাকলে তার মন বুঝতে পারব। কী করছে, না করছে জানতে পারব। ক্লাস সেভেন এইটে, এটা ভাবতাম। ইলেভেনে সাইকোলজি নিয়ে পড়তে গিয়ে দেখলাম, এটা স্টাডি অফ বিহেভিয়ার। একজন মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করে, অবজার্ভ করে তাকে বুঝতে পারব। আমাদের তো ডিপ্রেশন হয়, বিভিন্ন সমস্যা হয়। আমি নিজে ভাল থাকতে চাই, আশপাশের সকলকে ভাল রাখতে চাই।”
আরও পড়ুন, Ritabhari Chakraborty: ইলিশ মাছ, ক্রচেটের টেবিল ম্যাট, বই দিয়ে উত্তর কলকাতার ডাইনিং সাজালেন ঋতাভরী