সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের মনের অনেকটা অংশ জুড়ে ছিল ভানু। তাঁর প্রিয় পোষ্য। যাঁকে সন্তান স্নেহে আগলে রেখেছিলেন তিনি। কাজের মাঝে বারে বারে যাঁর অভাব অনুভব করতেন, ভালবাসতেন, স্নেহ করতেন, সেই ভানুই অকালে চলে যায়। হাজার চেষ্টা করেও তাকে আগলে রাখতে পারেননি অভিনেত্রী। তবে দোষ তাঁর নয়। যথা সময় তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন ডাক্তারের কাছে। কিন্তু ডাক্তারের কাছ থেকে তিনি কোনও সহযোগিতাই পাননি। ভানুর মৃত্যু দিনে আরও একবার ক্ষোভ উগরে দিলেন সুদীপা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দীর্ঘ পোস্ট করে লেখেন, বছর পেরিয়েছে তুমি আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছ। আমি হয়তো তোমায় জড়িয়ে ধরতে পারিনি যখন-যখন চেয়েছি। কিন্তু তোমার অস্তিত্ব আমি সব সময় অনুভব করেছি। মা এখনও তোমায় ভালবাসে। আমি চাই না তুমি ফিরে এসো। কেন? তুমি তা জানো। ভালবাসা আশীর্বাদ সব সময় থাকবে তোমায় সঙ্গে, যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা আবার দেখা করছি। আমি কোনওদিন সেই ডাক্তারকে ক্ষমা করব না, যিনি অযথা সময় নষ্ট করেছিলেন। অন্যদের দেখতে গিয়ে তোমায় মৃত্যুর জন্য ছেড়ে দিয়েছিলেন। অর্থ লোভী সেই ডাক্তারকে আমরা ক্ষমা করব না। কথা দিলাম। আমি ডাক্তারের নাম প্রকাশ্যে আনব না, আমি ঈশ্বরের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। তিনি এর শাস্তি পাবেন।
এক মাস আগেই ভানুর জন্মদিন পালন করেছেন সুদীপা। ভানুর ছবি শেয়ার করে সুদীপ্তা লিখেছিলেন, “সারাদিন অনেক কাজে, ভুলে থাকার ভাল করেও লাভ হল না কোনও। এই প্রথম বার তোমার জন্মদিনে, আমার কোলে বসে তুমি কেক খেলে না। তোমার মতো কেউ কোনওদিন ছিল না, না হবে। তুমি শ্রেষ্ঠ। সবসময়… শুভ জন্মদিন হ্যান্ডসাম। মা তোমায় সবচেয়ে বেশি ভালবাসে।” এমনিতে চারপেয়ে হলেও সে ছিল সুদীপার চোখের মণী। তাঁকে বরাবর সন্তানের মতোই ভালবেসেছিলেন সুদীপা।