টেরেন্স লুইস, বারে বারে খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়ে থাকেন বি-টাউন খ্যাত এই ডান্সগুরু। যাঁর পর্দায় নিত্য উপস্থিতি। রিয়ালিটি শো-এর বিচারক পদে বছরের পর বছর যিনি সকলের নজরের কেন্দ্রে। টেরেন্সের ভক্তের সংখ্যা নেহাতই কম নয়। কেউ তাঁদের নাচের ভক্ত। কেউ আবার তাঁর লুকের। হট লুকে টেরেন্স বারে বারে মহিলা মহলে ঝড় তুলে থাকেন। তবে বিতর্ক যে তাঁকে খুব একটা রেহাই দেয় এমনটা নয়। কারণ একটাই, টেরেন্স কোথাও গিয়ে যেন ব্যালান্স করতে ভুলে যান।
একাধিকবার সেই কারণেই নোরা ফাতেহির হাত ধরে তিনি হয়ে উঠেছেন ভাইরাল। কখনও ঘনিষ্ট দৃশ্য, কখনও আবার মর্ফ করা ভিডিয়ো ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে। নোরার সঙ্গে টেরেন্সকে নিয়ে চলা নানা গুজবে জল ঢেলেছেন ডান্সার নিজেই একাধিকবার। তবে ওটিটি প্রসঙ্গে যা বললেন, তাতে এক শ্রেণী বেজায় খুশি হলেও, অপর শ্রেণী বেশ মেজাজ হারালো। টেরেন্সের ফিটনেস মন্ত্র কী! না, কোনও লুকোচুরি নয়, নিজেই জানালেন, স্টার মন খুলে চার টিপসের কথা।
১. টেরেন্সের মতে ফিটনেসে ফাঁকি নয়। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় করে শরীরচর্চা করতে হবে। যোগা হোক বা প্রাণায়ম, সঙ্গে জিম, যাই হোক না কেন, কোনও না কোনও উপায় শরীরকে সচল রাখতে হবে। মেনে চলতে হবে কড়া ডায়েট। বিশেষ করে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর।
২.টেরেন্সের কথায় সাধারণভাবে থাকাই উচিত, সাধারণ কাজ খুব স্বাভাবিক পদ্ধতিতে শেষ করা উচিত। কোনও কিছু নিয়ে বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়া শরীর পক্ষে ক্ষতিকারক। সেই কারণে তিনি সব সময় যে কোনও চ্যালেঞ্জ ভীষণ সহজভাবে গ্রহণ করতেই বেশি পছন্দ করেন।
৩. মনকে নিজের কন্ট্রোলে রাখতে হবে। মনকে শান্ত রাখা, নিজের বশে রাখা, এক কঠিন কাজ। তাই টেরেন্সের কথায়, মন যদি অস্থির হয়ে ওঠে, তবে কোনও কাজই স্বাভাবিকভাবে করা সম্ভব নয়। তাই গত তিন বছরে তিনি নিজেকে টিভির পর্দা, ওটিটি থেকে দূরে রেখেছেন। এই সময়টা তিনি একান্তে কাটাতেই পছন্দ করেন।
সমস্যা সৃষ্টি করে এই তৃতীয় পসেন্ট। ওটিটি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখার উপদেশে নেটিজ়েনদের একাংশ বেজায় খেপে ওঠে তাঁর ওপর। একজন সেলেব হয়ে কী করে ওটিটি নিয়ে এমন মন্তব্য করা! মুহূর্তে ট্রোলের বন্যা বয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।