Friendship Day 2022: বেস্টি মুসলমান, এক থালায় ভাত খেয়ে বড় হয়েছি, মানুষ জানতে চান অসুবিধা হয় কি না: দিতিপ্রিয়া

Ditipriya Roy: ছোট পর্দায় রানী রাসমণির চরিত্রে অভিনয় করে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়। বন্ধু দিবসে স্কুলের অভিন্নহৃদয় বন্ধুদের কথা বললেন দিতিপ্রিয়া।

Friendship Day 2022: বেস্টি মুসলমান, এক থালায় ভাত খেয়ে বড় হয়েছি, মানুষ জানতে চান অসুবিধা হয় কি না: দিতিপ্রিয়া
দিতিপ্রিয়ার বন্ধুরা।
Follow Us:
| Updated on: Aug 07, 2022 | 10:40 AM

দিতিপ্রিয়া রায়

বন্ধু দিবস বলতে গেলে আমার স্কুলের বন্ধুদের কথাই মনে পড়ে। কেননা, ওরাই আমার বন্ধু রয়ে গিয়েছে। আমার বন্ধু সংখ্যা বাড়েওনি, কমেওনি। স্কুলে আমরা খুব ক্লোজ় ছিলাম। আমাদের বন্ধুদের গ্রুপে ৮জন। তার মধ্যে আমরা ৪জন বন্ধু বেশি ক্লোজ়। তার মধ্যেও ২জন আরও বেশি ক্লোজ়। ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ বলা যেতে পারে। এখনও তাঁরাই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। আমাদের কোনওদিনও কোনও অসুবিধে হয় না। সমস্যায় থাকলে প্রথম ফোন তাদের কাছেই যায়। আমার এটাও মনে হয়, বন্ধু হিসেবে তারাই আমাকে সবচেয়ে বেশি বোঝে। আমার ‘হাঁ’ বললে ওরা হাওড়া বুঝে যায়।

আমার সব বন্ধুরাই পাঠভবনের। আগের স্কুলেরও বন্ধু ছিল। কিন্তু আমি ওদের সঙ্গে এতখানি ক্লোজ় কোনওদিনও ছিলাম না। যে দু’জন বন্ধু আমার আজও খুবই আপন, তারা হল সারণী ঘোষ এবং ওয়াহিদা শবনম। আমাদের মধ্যে টেলিপ্যাথিক যোগ রয়েছে। যেমন ধরুন, সারণীর মন খুব খারাপ। এদিকে আমি সেটা জানিও না। মনের মধ্যে খচখচ শুরু হল, ওর বুঝি কিছু হয়েছে। সঙ্গে-সঙ্গে ফোন করে জানতে পারি সত্যিই কিছু একটা হয়েছে। এরকমও হয়, আমার কিছু হয়েছে। আমাকে যখন ও ফোন করে, আমি বলি কিছু ঠিক নেই। ওয়াহিদার সঙ্গেও এরকমটাই হয়েছে আমার। কী করে যে এটা হয়, আমি সত্যিই জানি না। তবে বন্ধুদিবসে এটাই বলব, ওদের পেয়ে আমি লাকি। ওরা দু’জনেই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

আমরা তিনজনে খুব কানেকটেড। আমার জন্মদিন আসছে সামনেই। ইনস্টাগ্রামে যদি কেউ আমার স্টোরি দেখতে পান, তা হলে দেখবেন আমার বাজে ছবিগুলো এই বাঁদর বন্ধুরাই দিয়ে যায় ক্রমাগত।রোজ ওদের সঙ্গে কথা হয়। স্কুল ছেড়ে দেওয়ার পরও আমাদের বন্ধুত্বটা রয়ে গিয়েছে। আমি আশা করি ভবিষ্যতেও আমাদের এই বন্ধুত্ব শক্তিশালী থাকবে।

আরও একটা কথা আমি আজ বলতে চাই। আমার দু’জন বেস্টির একজন কিন্তু মুসলমান। অনেককেই ধর্ম নিয়ে খুঁতখুঁতে হতে দেখেছি। বৈষম্য তৈরি করতে শুরু করে দেন তাঁরা। এগুলো কিন্তু আমার আর ওয়াহিদার মধ্যে কোনওদিনও আসেনি। বিশ্বাস করুন, ধার্মিক বিভেদের কথা কোনওদিনও ফিল করিনি। আমরা এক থালায় খেয়ে বড় হয়েছি। মোদ্দা কথা, আমার বেড়ে ওঠা ওরই সঙ্গে। আমাদের দু’জনের পরিবারও এই নিয়ে কোনও আপত্তি জানায়নি। কিছুদিন আগেই আমাকে একজন জিজ্ঞেস করলেন, এই যে তোদের ধর্ম আলাদা, তাতে অসুবিধে হয় না?

আমি অবাক হয়ে যাই। আমি দেখি, পুজোর সময় সবার আগে নতুন জামা কেনার জন্য লাফালাফি করে ওয়াহিদা। ঈদে ওদের বাড়িতে যাই আমরা। দুই ধর্মেরই সবকিছু সেলিব্রেট করি… এটাই তো চাই… এটাই তো হওয়ার কথা