স্নেহা সেনগুপ্ত
সিরিয়ালে বক্সিং করেন তিনি। গুণ্ডাদের মেরে ‘তক্তা’ বানিয়ে ফেলতে পারেন অভিনেত্রী দেব্যানী মণ্ডল। সম্প্রতি তাঁকে দেখা যাচ্ছে ‘ফুলকি’ ধারাবাহিকে (স্টার জলসায় সম্প্রচারিত হয়)। তিনিই ধারাবাহিকের ফুলকি। এই মুহূর্তে টিআরপি তালিকায় ৮.৭ নম্বর পেয়ে দু’নম্বর জায়গায় আছে ‘ফুলকি’। সম্প্রতি ধারাবাহিকের সেটে হাজির হয়েছিল TV9 বাংলা। ফুলকি, ওরফে দিব্যানীর সঙ্গে আড্ডা মজে ওঠে। তিনি কিন্তু সাধারণ কন্যা নন। বৈশিষ্ট্য আছে এই ১৯ বছরের অভিনেত্রীর। যে বৈশিষ্ট্য তাঁকে আর পাঁচজন মেয়ের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে রাখতে পারে। কী সেই বৈশিষ্ট্য?
১৯ বছরের দিব্যানী সম্পূর্ণ নিরামিষাশী একজন মানুষ। ১৫ বছর বয়সে মাছ-মাংস-ডিম খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত? দিব্যানী TV9 বাংলাকে জানিয়েছেন, ধর্মীয় কারণে নিরামিষ খাওয়া শুরু করেছেন তিনি। তিনি কৃষ্ণের সাধিকা আর পর্দায় তিনি বক্সার। মারামারি করতে হয়। মাছ-মাংস-ডিম খাওয়ার দৃশ্য থাকে সেখানে। তা হলে সেই দৃশ্যগুলো কীভাবে করা হয়, জানতে চাওয়ায় চোখ চিকচিক করে ওঠে দিব্যানীর। বলেন, “আমাকে সেটে সক্কলে ভীষণ প্যাম্পার করে। আমি তো নিরামিষ খাই, তাই আমার জন্য নিরামিষেরই ব্য়বস্থা থাকে সেটে। ফুলকি যেহেতু বক্সার, আমার ৬-৭টা ডিম খাওয়ার সিন থাকে। সেই সময় আমাকে মিষ্টি দিয়ে তৈরি-করা ডিম দেওয়া হয়।”
TV9 বাংলা যখন ‘ফুলকি’র সেটে পৌঁছয়, তখন কী করছিলেন দিব্যানী? মেকআপ রুম থেকে বেরিয়ে আসেন অভিনেত্রী। পাশের সেটেই যিশু সেনগুপ্তর শুটিং চলছে। সেদিকে একবার আড়চোখে তাকিয়ে ফুলকির সেটের দিকে এগিয়ে গেলেন দিব্যানী। প্রথমে রিহার্সাল হল। মাস্টার শট ওকে হল। স্বামী রোহিতকে (অভিনেতা অভিষেক বসু) ডিভোর্স দেবে বলে ঠিক করেছে ফুলকি। গুরুগম্ভীর সিনে সংলাপ বলার ফাঁকে-ফাঁকে চিত্রগ্রাহকের সঙ্গে খুনসুটি করতে থাকেন ফুলকি। তাঁকে মাঝেমধ্যেই সহ-অভিনেত্রীরা এসে গাল টিপে যায়…
লাঞ্চে ব্রেকে যাওয়ার আগে দিব্যানী জানিয়েছেন, পরিবারে কেবল তিনিই নিরামিষ খান, আর কেউ নন। তাঁর বাবা-মা কেউই মাছ-মাংস খাওয়া ছাড়েননি। কিন্তু তিনি নিরামিষ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন নির্দ্বিধায়। তাতে কোনও আক্ষেপ নেই দিব্যানীর। বলেছেন, “আমার সামনে মাছ-মাংস খেলে কোনও অসুবিধা হয় না। আমি উপেক্ষা করতে শিখে গিয়েছি…”