AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘স্বামী না থাকলেন আজ আমি এখানে থাকতামই না’, কোন প্রতিকূলতা নিয়ে মুখ খোলেন সঙ্ঘশ্রী…

Sanghasri Sinha Mitra : তাঁকে কেউ সেই সুযোগ দিচ্ছিলেন না শুরুর দিকে। তাঁর সেই ইচ্ছেকে দুটো ডানা মেলে উড়তে দিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। সঙ্ঘশ্রীর স্বীকারোক্তি, স্বামী না থাকলে আজ তাঁর অভিনেত্রী হওয়াই হত না। এ এক মিষ্টি প্রেমের কাহিনি।

'স্বামী না থাকলেন আজ আমি এখানে থাকতামই না', কোন প্রতিকূলতা নিয়ে মুখ খোলেন সঙ্ঘশ্রী...
সাহসী ফটোশুটে সঙ্ঘশ্রী সিনহা মিত্র
| Edited By: | Updated on: Jun 27, 2024 | 10:49 AM
Share

বিভিন্ন প্রযোজনা সংস্থায় এগজ়িকিউটিভ প্রোডিউসার হিসেবে কাজ করেছেন অভিনেত্রী সঙ্ঘশ্রী সিনহা মিত্র। স্থায়ী চাকরি ছিল তাঁর। তারকাদের সঙ্গে ছিল ওঠাবসা। কিন্তু সঙ্ঘশ্রীর মন চাইত অন্যকিছু। তাঁর জীবনের স্বপ্ন ছিল অভিনেত্রী হওয়ার। তাঁকে কেউ সেই সুযোগ দিচ্ছিলেন না শুরুর দিকে। তাঁর সেই ইচ্ছেকে দুটো ডানা মেলে উড়তে দিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। সঙ্ঘশ্রীর স্বীকারোক্তি, স্বামী না থাকলে আজ তাঁর অভিনেত্রী হওয়াই হত না। এ এক মিষ্টি প্রেমের কাহিনি।

চিরকালই চেহারা ভারী সঙ্ঘশ্রীর। কিন্তু তাতে কী! চেহারায় কী যায়-আসে। হাজার কটাক্ষকে উপেক্ষা করে নিজের স্বপ্নকে কখনওই জলাঞ্জলি দেননি তিনি। তাই হয়তো ভারী চেহারা নিয়েও সাহসী ফটোশুট করতে পারেন। এগজ়িকিউটিভ প্রডিউসার থেকে সোজা অভিনেত্রীর আসনে সঙ্ঘশ্রীর বসার স্টোরিটা আসলে কী?

বাড়ির দেখে দেওয়া পাত্রের সঙ্গে যখন সঙ্ঘশ্রীর বিয়ে ঠিক হচ্ছে, তখনই ঘটে বিষয়টা। দু’জন মানুষ, যাঁরা হয়তো একে-অপরের সঙ্গে বাকি জীবনটা কাটাবেন, সে রকম একটি পরিস্থিতিতে যদি সম্বন্ধ করে তাঁদের বিয়ে ঠিক হয়, তখন সেই দুটি মানুষ একে-অপরের ভাললাগা- মন্দলাগা চাওয়া-পাওয়ার আলোচনাটা সেরে ফেলেন। স্বামী তখন কেবল একজন পাত্র। জীবনে কী হতে চাও, বা কী হওয়া হল না, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল পাত্র-পাত্রীতে।। সঙ্ঘশ্রীর স্বামী বলেছিলেন, তিনি ক্রিকেটার হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু হতে পারেননি। ইতস্তত করে সঙ্ঘশ্রী বলেছিলেন, তিনি অভিনেত্রী হতে চান।

৩০ বছর বয়সে সঙ্ঘশ্রীকে তাঁর ইচ্ছের দাম দিয়েছিলেন এই মানুষটাই। তাঁকে লড়ার সাহস জুগিয়েছিলেন। বলেছিলেন, “অভিনয় করতে গেলে তোমার শুরুতে কী লাগবে, একটা বাড়ি, খাওয়াদাওয়া এবং কলকাতায় থাকা। এই তো! সেটা আমি তোমাকে দেব। তুমি নিজের স্বপ্নকে নিয়ে এগিয়ে যাও।”

এই কথা শুনে পরের দিনই চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন সঙ্ঘশ্রী। বিভিন্ন প্রোডাকশন হাউসে গিয়ে অভিনেত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এক সিরিয়ালে সঙ্গে-সঙ্গে কাজও জুটে গিয়েছিল তাঁর। সিরিয়াল নির্মাতা এবং লেখক সাহানা দত্ত তাঁকে কাস্ট করেছিলেন। বাকিটা ইতিহাস। সঙ্ঘশ্রীর অভিনয়ের তারিফ সকলেই করেন। তিনি একজন শক্তিশালী অভিনেত্রী। নেগেটিভ, পজ়েটিভ, কমেডি…সব পারেন। আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। করেননি চাকরিও। তবে এ কথা সঙ্ঘশ্রী বারবারই শিকার করেন, স্বামী পাশে না থাকলে কোনও কিছুই করা হত না তাঁর।