‘ধর্ষণটা মিমির সঙ্গে হলে আরও ভাল হত’। সমাজমাধ্যমের পাতায় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে আক্রমণ। সারা শহর প্রতিবাদের আগুনে জ্বলছে। ৯ অগস্ট আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তপ্ত সারা শহর, দেশ। যেখানে পথে নেমেছেন পুরুষ, নারী নির্বিশেষে। সকলের মুখে একটাই বুলি তিলোত্তমার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ন্যায় বিচার চাই। এক দিকে যখন প্রতিবাদের আগুন তখন অন্য দিকে আর এক চিত্র। নায়িকাকে নোংরা ভাবে আক্রমণ সমাজমাধ্যমের পাতায়। সেই মন্তব্যের স্ক্রিনশট নিজের ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। সব বিতর্কের শুরু হয় সমাজমাধ্যমের পাতার একটি ভাইরাল ভিডিয়োকে কেন্দ্র করে। যে ভিডিয়োয় দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলছেন যে তিনি নির্যাতিতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ‘অনুদান’ দিতে চান । আদপে সেই ভিডিয়ো ভুয়ো। মুখ্যমন্ত্রী বলতে চেয়েছিলেন তিলোত্তমার নামে তাঁর পরিবার যদি কিছু করতে চায় সেই মর্মে তিনি আর্থিক সাহায্য করতে চান। তা ১০ লক্ষ টাকাও হতে পারে। সেই ভাইরাল ভিডিয়োর কথার রেশ টেনেই নায়িকাকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়।
রশিদুল নামের একটি ব্যক্তির মন্তব্যে লেখেন,”মিমি শুধু একটা মেয়ে বলে তাঁর জন্য খারাপ ভাষা ব্যবহার করতে পারছি না। আজ যদি এই ঘটনা মিমির সঙ্গে ঘটত তাহলে কী করতিস? মিমির পরিবারকেও ১০ লাখ টাকা দিতিস নাকি? তাহলে মিমিকে আমার ঘরে পাঠিয়ে দিস আমি দিয়ে দেব ১০ লাখ ওর পরিবারকে।” আবার আর এক জন লেখেন,”ধর্ষণটা মিমির সঙ্গে হলে ভাল হত।” তবে প্রকাশ্যে ধর্ষণের হুমকি পেয়ে কিন্তু চুপ থাকেননি নায়িকাও।
প্রতিবাদ করেন মিমি। তিনি লেখেন,”আর আমরা একজন মহিলার জন্যই ন্যায় বিচার চাইছি তাই না? এঁরা অনেকের মধ্যে কিছুজন। এখন ধর্ষণের হুমকিকে নর্মলাইজ করে ফেলেছে এই বিষাক্ত পুরুষ সমাজ। একই সঙ্গে ভিড়ের মধ্যে মিশে গিয়ে বলছে যে তাঁরা নাকি মেয়েদের পাশে আছেন! এটা কোন শিক্ষার পরিচয়?” নিজের পোস্টে কলকাতা পুলিশকে সম্বোধন করেছেন অভিনেত্রী।
উল্লেখ্য, ৯ অগস্ট আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন মিমি-সহ একগুচ্ছ টলিপাড়ার তারকা। স্লোগান দিতেও শোনা গিয়েছে। তিলোত্তমার মৃত্যুর ন্যায় বিচার চেয়ে গলা ফাটিয়ে তাঁরা বলেছেন, “ন্যায় বিচার চাই।” কিন্তু তার পরেও এই হুমকি এবং কদর্য ভাষা দেশে খুবই হতাশ এবং বিরক্ত অভিনেত্রী।