‘চুমু পেলে চুমু খাবো’, কালীঘাটের চুমু বিতর্কে চাঁচাছোলা বিরসা
Kiss Controversy: কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে তরুণ-তরুণীর চুমু খাওয়ার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর তোলপাড় গোটা শহর। কেউ পক্ষে মন্তব্য করছে তো কেউ বিপক্ষে পোস্ট করছেন লম্বা লেখা। শনিবারই নেটপাড়ায় ছড়িয়ে পড়ে এই ভিডিয়ো। যেখানে দেখা যায় মেট্রো স্টেশনের পিলারের সামনে দাঁড়িয়ে তরুণ-তরুণী পরস্পরের ঠোঁটে বুঁদ।
কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে তরুণ-তরুণীর চুমু খাওয়ার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর তোলপাড় গোটা শহর। কেউ পক্ষে মন্তব্য করছে তো কেউ বিপক্ষে পোস্ট করছেন লম্বা লেখা। শনিবারই নেটপাড়ায় ছড়িয়ে পড়ে এই ভিডিয়ো। যেখানে দেখা যায় মেট্রো স্টেশনের পিলারের সামনে দাঁড়িয়ে তরুণ-তরুণী পরস্পরের ঠোঁটে বুঁদ। সাধারণত কলকাতায় এমনটা চিত্র সচরাচর ধরা পড়ে না। এই ভিডিয়ো পোস্ট করে একজন লেখেন ‘কলকাতা সত্যিই লন্ডন হয়ে গেল।’ প্রেমের এমন বহিঃপ্রকাশ মোটেই ভাল চোখে দেখছেন না শহরের অনেকে। তবে এই দৃশ্য নিয়ে কেন এত সমালোচনা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সমাজের একটা বড় অংশ।
একটি লম্বা লেখা পোস্ট করেন পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত। তিনি লেখেন, “চুমু পায় ঠিক যেমন বৃষ্টি পড়লে খিচুড়ি পায় স্নানের সময় গান পায় আদরের পরে সিগারেট পায় পড়তে বসলে ঘুম পায় তেমনই, তাই চুমু পেলে চুমু খাবো যখন যেখানে ইচ্ছে কার বাপের কী?”
পরিচালকের এই পোস্টে একজন মন্তব্য করেছেন,”আমাদের এখানে আসলে ধর্ষণটা বাস্তব। প্রকাশ্য রাস্তায় ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানি হলেও কেউ ফিরে তাকায় না। কিন্তু দুজন প্রেমে পড়ে চুমু খেলেই মুশকিল।” আবার এক জনের মন্তব্য, “এ দেশে ঘুষ খেলে কথা হয় না। চুমুতে হয়। হায় রে চুমু!’ তেমনই কেউ লিখেছেন, ‘তেমনই হিসু পেলেই হিসু করব, তাই তো?’ আরেকজন লিখলেন, ‘শালীনতা বোধের অভাব সব জায়গায় না সবকিছু করা যায় না।”
উল্লেখ্য, বেশ কিছু দিন আগে বিরসা ও তাঁর স্ত্রী বিদীপ্তা চক্রবর্তীর একটি ছবি নিয়েও বিপুল আলোচনা হয়েছিল। নিজের বিবাহবার্ষিকীর দিনে নিজেদের একটি আদুরে ছবি পোস্ট করেছিলেন পরিচালক। নিন্দকেরা কম আলোচনা করেননি তা নিয়ে। এই লেখা যে নিন্দকদের উচিত জবাব তা কিছুটা আন্দাজ করা যায়।