হাতের উপর রাখা হাত। পরস্পর দু’জনের হাত শক্ত করে ধরে রেখেছেন। একে অপরের যে ভরসা তা ছবিতেই স্পষ্ট। মঙ্গলবার সকালে এমনই একটি ভালবাসা, ভরসার ছবি পোস্ট করেছেন নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত। যদিও এখন আর তিনি সেনগুপ্ত পদবীটা ব্যবহার করেন না। তবে এই ছবিটা যখন তোলা তখনও নিজের নামের পাশে সেনগুপ্ত পদবীই ব্যবহার করতেন তিনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছু বদলে যায়। ২০২৪ সালে নীলাঞ্জনার জীবনেও অনেক কিছু বদলে গিয়েছে। চলতি বছরেই মা অঞ্জনা ভৌমিককে হারিয়েছেন টলিপাড়ার প্রযোজক তথা অভিনেত্রী। মায়ের মৃত্যুশোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি নীলাঞ্জনা।
তাই অঞ্জনার চলে যাওয়ার সাত মাসের মাথায় আবারও মায়ের স্মৃতিতে ডুব দিলেন তিনি। হাসপাতালে বিছানায় মায়ের সঙ্গে এটাই সম্ভবত তাঁর তোলা শেষ ছবি। বিশ্বকর্মা পুজোর সকালে সেই ছবি পোস্ট করলেন টলিপাড়ার প্রযোজক। ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, “টেকনিক্যালি এটাই আমাদের শেষ তোলা ছবি। যতক্ষণ না আবার দেখা হচ্ছে। মাম্মি তোমায় খুব ভালবাসি। আগামী প্রতিটা জন্মে তুমি আমারই মা হও এটাই চাইব। তোমায় হারানোর সাত মাস।”
উল্লেখ্য, এক দিকে মা অঞ্জনাকে হারানোর মন খারাপ তো আছেই। অন্য দিকে তাঁর বিবাহিত জীবনেও নাকি উঠেছে ঝড়। শোনা যাচ্ছে, অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তর সঙ্গে তাঁর বিবাহিত জীবন আর আগের মতো সুখের নেই। তাঁরা নাকি আলাদা থাকছেন। এমনকি যিশু-নীলাঞ্জনার এই সমস্যা নাকি গড়িয়েছে কোর্ট পর্যন্ত। শোনা যাচ্ছে, আইনি পথে হাঁটছেন তাঁরা। সব আইনি প্রক্রিয়াও নাকি শুরু হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নীলাঞ্জনার জীবনের পিলার দু’জন। তাঁরা হলেন সারা এবং জারা সেনগুপ্ত। যিশু-নীলাঞ্জনার দুই মেয়ে। বাবা যিশুকে নাকি মোটেই সমর্থন করেননি তাঁরা। যদিও নিজের বিবাহবিচ্ছেদ প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত কোনও কথাই বলেননি তারকা জুটি।