বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণির অভিযোগ করেছেন তাঁকে ধর্ষণ এবং খুনের চেষ্টা করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগের আঙুল ওই দেশেরই এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর দিকে। সাংবাদিকদের ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন নায়িকা। জোর গলায় বলেছেন, “যদি আমি মারা যাই ভাইয়া ভাববেন আমারে খুন করা হয়েছে। আমি আত্মহত্যা করার মেয়ে নই…”। এ বার পরীমণির পাশে দাঁড়ালেন অভিনেত্রী জয়া আহসানও।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে জয়া লিখেছেন, “বেদনা ও ধিক্কারে মনটা ভরে উঠেছে… একবিংশ শতকের অনেকটা পথ পার হয়ে এসে এখনো মেয়েদের এমন লাঞ্ছনা দেখতে হবে? কোনো মানুষ, কোনো মেয়ের সঙ্গে এমন আচরণ করার মন, মানসিকতা বা দুঃসাহস কোত্থেকে আসে? যে চলচ্চিত্রশিল্পকে রক্তে–ঘামে আমরা তিল তিল করে গড়ে তুলছি, তা এতই নাজুক, এতই খেলো?”
ঘটনার পূর্ণ তদন্ত দাবি করেছেন জয়া। তিনি যোগ করেছেন, “আমরা দেখতে চাই, এমন দুর্বৃত্তপণার বিচার হয়েছে। দেখতে চাই, কোনো মেয়ে—তা সে যে–ই হোক—তার সঙ্গে এমন আচরণের অবসান হয়েছে।”
রবিবার রাতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মা’ সম্বোধন করে পরীমণি লেখেন, “আমি পরীমণি।এই দেশের একজন বাধ্যগত নাগরিক।আমার পেশা চলচ্চিত্র। আমি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি।আমাকে রেপ এবং হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।”
বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি প্রথম সারির দৈনিক থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রবিবার পরীমণি জানান, ১০ জুন রাতে তিনি এবং তাঁর দুই ব অন্ধু একটি ক্লাবে যান। সেখানেই কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। তাঁর অভিযোগ, ওই ব্যক্তিদের মধ্যেই একজন তাঁর মুখে পানীয়র গ্লাস চেপে ধরে এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। তাঁর আরও অভিযোগ মারধর করা হয় পরীর সঙ্গে থাকা বন্ধুটিকেও।
তবে শুধু জয়াই নন, পরীমণির অভিযোগের পর থেকেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন ওপারের অনেক শিল্পীই। তাঁদের একটাই বক্তব্য দোষীদের দ্রুত শাস্তি চান তাঁরা।