সম্প্রতি ফ্রান্সে হয়ে গেল একটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। ৫ থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত ছিল সেই ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, যাঁর নাম ‘গঁজ্ সুর সেইন্ ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’। সেই ফেস্টিভ্যালেই সমাদৃত দুটি বাংলা ছবি। একটি পরিচালক শৈবাল মিত্রর ‘আ হোলি কনস্পিরিসি’ এবং অন্যটি নির্দেশক তুষার বল্লভের ‘ডেমোক্কেসি’। দুটি ছবিই সমাদৃত হয়েছে অভিনেতাদের জন্য।
শৈবালের ‘আ হোলি কনস্পিরিসি’তে অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, নাসিরউদ্দিন শাহ এবং অমৃতা চট্টোপাধ্য়ায়। এক আইনজীবীর চরিত্রে ছিলেন নাসির। ফ্রান্সের এই ফেস্টিভ্যালে সেরা পুরুষ অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন নাসির। অন্যদিকে ওই একই মঞ্চ থেকে সেরা মহিলা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন নবাগতা সঙ্গীতা বল্লভ। তিনি ‘ডেমোক্কেসি’র প্রধান নারী চরিত্র।
নাসিরউদ্দিনের জন্য এই ধরনের পুরস্কার নতুন কিছু নয়। কিন্তু তাঁর মতো এক তাবড় অভিনেতার পাশে নবাগতা সঙ্গীতার পুরস্কার পাওয়া যেন শুরুতেই তাঁর অভিনয় কেরিয়ারের কাছে এক দুর্দান্ত বিষয়। এ নিয়ে TV9 বাংলা কথা বলে সঙ্গীতার সঙ্গে।
জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক পুরস্কার। তাও আবার অভিষেকেই এই সম্মান। নিজে হাতে ফ্রান্সে গিয়ে পুরস্কার নিতে পারেননি সঙ্গীতা। তাই একটু দুঃখও আছে। তাঁর পুরস্কার পাঠানো হচ্ছে কলকাতায়। জানালেন সঙ্গীতা। তার উপর যে মঞ্চে নাসিরউদ্দিন শাহের মতো তারকা পুরস্কৃত হন, সেই একই মঞ্চ থেকে সঙ্গীতার এই কৃতিত্ব স্পর্শ করা স্বাভাবিকভাবেই অভিনেত্রীকে দশগুণ বেশি উৎসাহ দিয়েছে। তিনি বলেছেন, “নবাগতা হিসেবে আমার কাছে এটা মাইলফলক স্পর্শ করার মতো বিষয়। নাসিরউদ্দিন শাহ যে মঞ্চে পুরস্কৃত হন, তাতে আমিও পুরস্কার পেয়ে খুবই আনন্দ পেয়েছি। কেরিয়ারের শুরুতে একটা বুস্ট!”
সঙ্গীতার এই কৃতিত্বের পর তাঁর কাছে ভূরি-ভূরি প্রস্তাব আসতে শুরু করেছে কাজের। কলকাতা তো বটেই, মুম্বই থেকেও কাজের অফার আসছে। বলেছেন, “আমার কাছে প্রচুর ফোন আসছে। আমাকে নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন বিভিন্ন নামী পরিচালকেরা। অভিনেত্রী হিসেবে এটা আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া।”