দু’বছর আগেকার ঘটনা। ভারতলক্ষ্মী স্টুডিওতে জীবনের শেষ শুটিং করেছিলেন বাংলার কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তারপরই তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন মধ্য কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। আর ফিরে আসেননি তারপর। ৪৫ দিনের লড়াইয়ের পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন সৌমিত্র। আজও সেই ঘটনা, প্রতিদিন রাতে আসা হাসপাতালের মেডিকেল বুলেটিন মানুষের জ্বলজ্বল করে। যে বিষয়ের শুটিং করছিলেন সৌমিত্র, তা ছিল তাঁর জীবনের উপর তৈরি তথ্যচিত্র। যে তথ্যচিত্রের নাম ‘আমি সৌমিত্র’। সেটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন সায়ন্তন মুখোপাধ্যায় এবং প্রযোজনা করেছিলেন অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়।
আজ দু’বছর পর শেষমেশ সেই তথ্যচিত্র মুক্তি পেতে চলেছে। ১৩ জানুয়ারি ‘নন্দন টু’ প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হবে ‘আমি সৌমিত্র’। দুপুর ১টায় প্রদর্শিত হবে নন্দনে, এক সপ্তাহের জন্য। বিষয়টি তাঁর ফেসবুকে এসে জানিয়েছেন সৌমিত্র-কন্যা পৌলোমী বসু।
পৌলোমী লিখেছেন, “বন্ধুরা শেষমেশ আমাদের তথ্যচিত্র ‘আমি সৌমিত্র’ মুক্তি পাচ্ছে। জানি শেষ মুহূর্তে জানাচ্ছি। কিন্তু নন্দন ২তে অর্থাৎ প্রথম প্রদর্শিত হবে এই তথ্যচিত্র, শো টাইম বেলা ১টা। এক সপ্তাহ ধরে দেখানো হবে আমার বাবার জীবনের উপর তৈরি এই তথ্যচিত্র। তাই বন্ধুরা এসে দেখে যাবেন।”
‘আমি সৌমিত্র’ কেবলমাত্র সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবনের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা কোনও তথ্যচিত্র নয়। এই তথ্যচিত্রে লুকিয়ে রয়েছে সৌমিত্র জীবনের নানা আঙ্গিক। তিনি যে এক বহুমুখী প্রতিভা, তা প্রস্ফুটিত হয়েছে এই তথ্যচিত্রে। শিল্পকলা জগতের নানা গুণী ব্যক্তি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্কে তাঁদের বক্তব্য প্রকাশ করেছেন এই তথ্যচিত্রে এবং তাতে হাজির রয়েছেন স্বয়ং সৌমিত্র।
বাংলার এই কিংবদন্তি অভিনেতার সম্পর্কে আরও বেশি জানতে নির্দ্বিধায় শিক্ষণীয় পেতে পারে এই তথ্যচিত্র। ব্যক্তি সৌমিত্র, শিল্পী সৌমিত্র, কবি সৌমিত্র, চিত্রকর সৌমিত্র – নানা সৌমিত্রকে ধরা হয়েছে ‘আমি সৌমিত্র’ তথ্যচিত্রে।