বর্ধমানেই কেটেছে তাঁর ছেলেবেলা। কেটেছে কৈশরের সোনালি দুপুর। এখন অবশ্য ঘরবাড়ি কলকাতায়। তবু ঘরে ফেরার আনন্দ যে শহুরে বহুতলের কাছেও নেহাতই ফিকে। বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই বর্ধমানে ছিলেন অঙ্কুশ। সঙ্গে ছিলেন প্রেমিকা ঐন্দ্রিলা। কখনও রাতের শহরে প্রেমিকাকে ব্যাকসিটে বসিয়ে স্কুটিতে বর্ধমান ঘুরে বেড়ান আবার কখনও বা পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা… এ সবই শেয়ার করে নিচ্ছিলেন ভক্তদের সঙ্গে। সংগ্রহ করছিলেন স্মৃতি। আর এই স্মৃতি সংগ্রহেই অঙ্কুশ ঘুরে এলেন তাঁর ছোটবেলার স্কুলও।
হলি রক স্কুলে পড়তেন অভিনেতা। তখন তিনি অভিনেতা অঙ্কুশ হননি। আর পাঁচজনের মতোই টিফিন টাইম আড্ডা, একসঙ্গে খেলাধুলো করেছেন চুটিয়ে। তাই ক্লাসরুমে ঢুকেই বেঞ্চে বসে পড়েন তিনি, আর পাঁচজন ছাত্রের মতোই। তিনি তো আর তখন তারকা অঙ্কুশ নন, একেবারে বাধ্য ছাত্র। হাজির ছিলেন ঐন্দ্রিলাও। অঙ্কুশের আনন্দে তিনিও খুশি। হাজির শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। অঙ্কুশ যে তাঁদের গর্ব… অভিনেতা সেই আবেগমাখা ভিডিয়ো শেয়ার করে লিখেছেন, “আমার জীবনের সবচেয়ে সেরা মুহূর্ত। বর্ধমানে আমার স্কুলে গিয়েছিলাম। আমার ছোটবেলা আরও একবার হাতড়ে এলাম। আমার মিষ্টি প্রিন্সিপ্যাল ম্যামের সঙ্গেও দেখা হল। কী যে ভাল লাগছে, আমি তা ভাষায় বোঝাতে পারব না। আমার চোখ জলে ভিজে যাচ্ছিল। ঐন্দ্রিলাকেও ওঁরা অসম্ভব ভালবেসেছেন”।
বর্ধমানের জার্নি শেষে আবারও রায়গঞ্জের দিকে রওনা হয়েছেন জুটি। শো রয়েছে তাঁদের। হাতেও রয়েছে বেশ কিছু ছবির কাজ। নিজের প্রযোজনা সংস্থা খুলেছেন অঙ্কুশ। সব মিলিয়ে ব্যস্ততার মাঝে হঠাৎ পাওয়া এক টুকরো ছোটবেলা… ইঁদুরদৌড়ে এই আনন্দের যে ভাগ হবে না কোনওমতেই।