প্রয়াত হলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক পিনাকী চৌধুরী। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। লেকগার্ডেন্সে তাঁর বাসভবনে মারা যান পিনাকী। ক্যান্সারের আক্রান্ত ছিলেন তিনি। তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছিল। রবিবার বাড়িতে আনার পরই মৃত্যু হয় ভোর রাতে। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া টলিপাড়ায়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত কয়েক মাস ধরেই অসুস্থ ছিলেন পরিচালক। কলকাতারই একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন পিনাকী। কার্ডিয়ো রেস্পিরেটরি ফেইলিওর হয় (হৃদয় ও ফুসফুস অকেজো হয় মৃত্যু) তাঁর। সেই সঙ্গে লিমফোমায় আক্রান্ত ছিলেন বিগত কয়েক মাস। অর্থাৎ, পরিচালক মারণরোগ ক্যান্সারেও আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই ক্যান্সার শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাকে আস্তে-আস্তে নষ্ট করতে থাকে। কোনও ধরনের জীবাণুকেই আর মোকাবিলা করতে পারে না শরীর।
খারাপ খবরটি পেয়ে TV9 বাংলা যোগাযোগ করেছিল পিনাকী চৌধুরীর পরিবারের সঙ্গে। তাঁর পরিবারের এক সদস্য বলেছেন, “মিস্টার পিনাকী চৌধুরী মারা গিয়েছেন। অনেকদিন থেকেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। আমরা হাসপাতালেও ভর্তি করেছিলাম। গতকাল (রবিবার) হাসপাতাল থেকে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বাড়িতেই মৃত্যু ঘটেছে। আমাদের মন মেজাজ কিছুই ভাল নেই। এভাবে মানুষটাকে হারাব ভাবিনি।”
বেশ কিছু ছবির পরিচালনা করেছিলেন পিনাকী। সেই ছবির তালিকায় রয়েছে ‘সংঘাত’, ‘বালিগঞ্জ কোর্ট’। ১৯৯৬ সালে ‘সংঘাত’-এর জন্য এবং ২০০৭ সালে ‘বালিগঞ্জ কোর্ট’-এর জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন পিনাকী। ২০১০ সালে তৈরি করেছিলেন ‘আরোহণ’। সেটিই ছিল তাঁর শেষ পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবি। এর পর তিনি আর ছবি তৈরি করেননি। এই ছবিটি বহু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েছে এবং সমৃদ্ধ হয়েছে।