Director Nripen Ganguly: বর্ষীয়ান চলচ্চিত্রকার নৃপেন গঙ্গোপাধ্যায়ের জীবনাবসান

TV9 Bangla Digital | Edited By: utsha hazra

Oct 24, 2021 | 3:48 PM

Director Nripen Ganguly: কয়েকদিন আগে আক্রান্ত হয়েছিলেন ম্যালেরিয়ায়। প্রাথমিক ভাবে সুস্থ হয়ে উঠলেও, দীর্ঘস্থায়ী হল না লড়াই। গতকাল রাত ৯টায় কলকাতায় নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ভোরে ক্যাওড়াতলা মহাশশ্মানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

Director Nripen Ganguly: বর্ষীয়ান চলচ্চিত্রকার নৃপেন গঙ্গোপাধ্যায়ের জীবনাবসান
পরিচালক নৃপেন গঙ্গোপাধ্যায়

Follow Us

বাংলা চলচ্চিত্র জগতে ইন্দ্রপতন। চলে গেলেন বর্ষীয়ান চলচ্চিত্রকার নৃপেন গঙ্গোপাধ্যায়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। টলিপাড়ায় তিনি ন্যাপাদা নামেই পরিচিত। দীর্ঘদিন থেকেই ভুগছিলেন বার্ধক্যজনিত অসুখে। মাঝে ধরা পড়ে ক্যানসার। কয়েকদিন আগে আক্রান্ত হয়েছিলেন ম্যালেরিয়ায়। প্রাথমিক ভাবে সুস্থ হয়ে উঠলেও, দীর্ঘস্থায়ী হল না লড়াই। গতকাল রাত ৯টায় কলকাতায় নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ভোরে ক্যাওড়াতলা মহাশশ্মানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

সত্যজিৎ রায়ের পর বার্লিনজয়ী দ্বিতীয় বাঙালি ছিলেন নৃপেন গঙ্গোপাধ্যায়। ‘ভোম্বল সর্দার’ ছবির জন্য ছোটদের ছবির বিভাগে পান জাতীয় পুরস্কার। যদিও সেই অর্থে দর্শক মহল তেমন জনপ্রিয়তা বা পরিচিতি পাননি তিনি। ১৯৮৪-তে জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত হয় তাঁর ছবি। সত্যজিৎ রায়ের ‘ঘরে বাইরে’র পর দ্বিতীয় বাংলা ছবি হিসাবে বার্লিন পাড়ি দিয়েছিল নৃপেন গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত ছবি ‘ভোম্বল সর্দার।’ পরিচালক মৃণাল সেনের উপর একটি তথ্যচিত্রও তৈরি করেন তিনি। এছাড়াও বহু তথ্যচিত্র তৈরি করেছিলেন পরিচালক। তবে নিজেকে লাইমলাইটের আড়ালে রাখতেই পছন্দ করতেন।

১৯৫৬ সালে হীরেন বসু পরিচালিত ছবি একতারা-তে প্রথম সহকারী পরিচালক হিসাবে হাতেখড়ি নৃপেন গঙ্গোপাধ্যায়ের। তারপর ‘রাজধানী থেকে পালিয়ে’ ‘পার্সোনাল এ্যাসিস্টেন্ট’ ‘অভিযান’-এর মতো ছবির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সিনেমার পাশাপাশি কাজ করেছেন ‘মনে রেখো মোর গান’-এর মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকেও। পরিচালনা করেছেন ‘নয়নছাতি’, ‘মেজদিদি’, ‘অন্তর্জলি’-র মতো টেলিফিল্ম।

আজীবন কলকাতায় ছিলেন নৃপেন গঙ্গোপাধ্যায়। তবে তাঁর জন্ম পূর্ববঙ্গের ফরিদপুরে। ১৯২৭ সালের ১৫ অগস্ট জন্ম হয় তাঁর। ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়ে চলে আসেন এপার বাংলায়। তারপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহিত্য নিয়ে স্নাতকস্তরের পড়াশোনা। জড়িয়ে পড়েন বামপন্থী রাজনীতিতেও। বিখ্যাত কিছু উপন্যাস নিয়ে যেমন বড়পর্দায় কাজ করেছেন, তেমনই সমকালীন যুগের গল্প সিনেপর্দায় দেখাতেও ভালবাসতেন তিনি।

প্রতিটি ছবিতেই সামাজিক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করতেন তিনি। তাঁর কাজ দেখে শেখে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাস তাঁর কাছে ঋণী হয়ে থাকবে। সিনেমার ভাষা এবং তথ্যচিত্রের ভাষার সমান্তরাল চলন ছিল তাঁর কাজের আঙ্গিক। শুধু শিল্পী হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে তাঁর অমায়িক ব্যবহার মনে রাখবে বাংলা ইন্ডাস্ট্রি। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমেছে সিনে মহলে।

আরও পড়ুন:Ramayan: ‘রাবণ’-এর পর প্রয়াত হলেন ‘রামায়ণ ধারাবাহিকের’ এই অভিনেতাও

আরও পড়ুন:Ramleela: রামনাম করতে করতে মঞ্চেই মৃত্যু অভিনেতার, দর্শক ভাবলেন ‘অভিনয়’

 আরও পড়ুন:Farrukh Jaffar: প্রয়াত ‘গুলাবো সিতাবো’র ‘বেগম’ অভিনেত্রী ফারুখ জাফর

Next Article