জিতু কামাল– ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে কিছুটা সিরিয়াস বলেই জানে। বড় পর্দায় কখনও তিনি সত্যজিৎ আবার কখনও বা তিতুমীর। এ হেন জিতুই চুম্বন দিবসে ভাসলেন ভালবাসায়। নীল জল আর ঠোঁটে ঠোঁট– সব মিলিয়ে ভালবাসার খামতি নেই। অপর ব্যক্তিটি কে? কে আবার? তাঁর স্ত্রী নবনীতা দত্ত। স্ত্রীর সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠ ছবি এই প্রথম শেয়ার তাঁর। ক্যাপশনটিও খাসা, অন্তত তেমনটাই দাবি নেটিজেনদের। লিখেছেন, ‘জলীয় বাষ্প’। প্রেমদিবসের আগে তাঁদের এই পোস্ট নিয়ে কিন্তু হচ্ছে বেশ চর্চা। খুল্লামখুল্লা এই প্রেম প্রদর্শনে কেউ জানিয়েছেন আপত্তি, আবার কারও মতে, বসন্তের প্রাককালে এই ছবি মন্দ কী?
গত বছর ডিসেম্বরে নিমতা থানায় চরম হেনস্থার মুখোমুখি হয়েছিলেন জিতু ও নবনীতা। গাড়ি নিয়ে ফিরছিলেন জিতু-নবনীতা। সেই সময়েই নিমতা মাঝেরহাটি মোড়ে তাঁদের গাড়িকে অপর এক পণ্যবাহী গাড়ি ধাক্কা দেয় বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। তাঁদের গাড়িটির চালক ওই গাড়িটিকে আটকানোর চেষ্টা করলে বাধে বচসা। নবনীতা ও জিতু অভিযোগ করেন, তাঁদের গাড়ির চালককে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তাঁদের আরও অভিযোগ, এরপর নিমতা থানায় গেলে পুলিশি অসহযোগিতার মুখে পড়েন তাঁরা। বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের থানায় বসিয়ে রাখা হয় বলেও সংবাদমাধ্যমের কাছে ক্ষোভ উগরে দেন দম্পতি। পাশাপাশি, ফেসবুকে লাইভে এসে জিতু-নবনীতা দাবি করেন, ওই পণ্যবাহী গাড়ি চালক তার দলবল নিয়ে চড়াও হয়ে ক্রমাগত খুন ও ধর্ষণের হুমকি দিতে শুরু করে। ফেসবুক লাইভে এসে কান্নায় ভেঙে পড়ে নবনীতা বলেন, “আমি ভয় পেয়ে গিয়েছি। পুলিশের সামনে আমাকে বলা হচ্ছে রেপ করে দেব, ডেথ করে দেব। এটা কীরকম? পুলিশের সামনেই যদি এরকম করে বলা হয়, তাহলে আমি একা থাকলে কী করতে পারে। আমরা কী দোষ করেছি? গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার কী আমাদের অপরাধ? আমার প্রচণ্ড ভয় লাগছে।” এখানেই শেষ নয়, অভিনেত্রী অভিযোগ করেন, থানার সামনে ঘটনাটি ঘটলেও পুলিশ ছিল নীরব দর্শক। এমনকি খুনের হুমকি পাওয়ার পরেও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন জিতু ও নবনীতা। যদিও নিমতা থানার পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। ঘটনাটি নিয়ে হয় বিস্তর জলঘোলা। যদিও আপাতত সে সব স্তিমিত। আপাতত প্রেমের সপ্তাহের আগে ভালবাসায় বুঁদ তাঁরা।