অতিমানবের চরিত্রে বনি সেনগুপ্ত। মানব রূপ ছেড়ে তিনি এবার সুপারম্যান। আর এই সুপারম্যান হয়ে ওঠার পিছনেই বড় ভূমিকা পালন করতে চলেছেন তাঁর রিয়েল লাইফ প্রেমিকা কৌশানি মুখোপাধ্যায়। ছবিতে তিনি অভিনয় করছেন এক সাংবাদিকের চরিত্রে। ছবির নামও ‘সুপারম্যান’। তবে একা কৌশানি নন, গ্রামের সাধারণ ছেলের সুপারম্যান হয়ে অঠার পিছনে আরও একজনের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছেন এই ছবিতে। কে তিনি?
পরিচালক রিনো দত্ত জানাচ্ছেন তিনি ঈশানি। প্রতিটি মানুষের মধ্যেই যে সুপারম্যান হওয়ার ক্ষমতা বর্তমান তাই বনির কাছে তুলে ধরতে চলেছেন এই দুই নারী। কেন এই ছবির নাম সুপারম্যান? কী রয়েছে তাতে? সুপার হিরো এলিমেন্ট? উত্তর দিয়েছেন খোদ পরিচালক। তাঁর কথায়, “প্যান্ডেমিকের সময়ে আমরা মানুষকে বিপদে পড়তে দেখেছি নানা ভাবে। আবার সেই সময়ই অনেক মানুষ কে দেখেছি ঝাঁপিয়ে পড়ে অপরকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে। কিছু কিছু মানুষ তো নিজেকে এমনতর সীমায় নিয়ে গিয়ে অন্যের উপকারে লেগেছেন যে তাদের সুপারম্যান বললে অত্যুক্তি মোটেও হয় না। এই ধরনের মানুষদের থেকেই আমাদের সিনেমা “সুপারম্যান” অনুপ্রাণিত।”
সিনেমায় বনির চরিত্র এমনই এক ব্যক্তির যিনি ইচ্ছেশক্তির জোরে জয় করেন বাধা। সৃষ্টি করেন তার মতোই হাজারও ‘সুপারম্যান’। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা বিগত মাসেই আছড়ে পড়েছিল সারা ভারতে। যদিও বীভৎসতা লক্ষিত হয়েছিল আগের দুইয়ের ঢেউয়েই। আর এই প্যান্ডেমিকেই প্রথম সারির এমনই এক সুপারম্যানকে নিয়ে এই ছবি।
মাস খানের আগেই বিজেপি ছেড়েছিলেন বনি। টিভিনাইন বাংলাকে জানিয়েছিলেন, তাঁর আগামী পরিকল্পনার কথা। মুখ খুলেছিলেন দলত্যাগ নিয়েও। বলেছিলেন, “থাকতে পারছিলাম না। দলে যোগ দিয়ে বুঝলাম বঙ্গ বিজেপির একটা উদ্দেশ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গদিচ্যুত করা। আর কোনও ভাল কাজ করতে তাঁরা খুব একটা ইচ্ছুক নয়।” জানিয়েছিলেন, এখনই তৃণমূলে যোগদান নয়, সময় এসেছে অভিনেতা বনি সেনগুপ্তকে আবারও ঝালিয়ে নেওয়ার। সেই পথেই এগচ্ছেন তিনি। হাতে রয়েছে বেশ কয়েকটি ছবির কাজ। সঙ্গে এই ‘সুপারম্যান’।