স্নেহা সেনগুপ্ত
তিনি কিংবদন্তি অভিনেত্রী। তিনি স্ক্রিন শেয়ার করলে কিংবা মঞ্চ শেয়ার করলে আজও অনেক অভিনেতারই বুক দুরু দুরু করে। তাঁর প্রসঙ্গে চিরকালই প্রশংসা ঝরে পড়েছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। কেবল সৌমিত্র নন, ইন্ডাস্ট্রির ‘সাবু’, ‘সাবু’দি কিংবা ‘সাবু’আন্টি সকলের ফেভারিট। আর বাংলার দর্শক? তিনি দর্শকের নয়নের মণি। আজও সাবিত্রী মানে ছবি, সিরিয়াল হিট। আজও অনেকে বলেন, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের মতো অভিনেত্রী বাংলায় খুব কম তৈরি হয়েছেন। সাবিত্রী যদিও বিনয়ের সঙ্গে বলেন, ‘সবই আপনাদের ভালবাসা’… সাবিত্রীদেবীর অভিনয় যেমন সাবলীল ও শক্তিশালী, তাঁর ব্যক্তিজীবনও বর্ণময়। নিজেই সেই সমস্ত কথা ব্যক্ত করেছেন তাঁর আত্মজীবনী ‘সত্যি সাবিত্রী’তে। বইয়ের অনুলিখন করেছিলেন বাংলা সিরিয়ালের লেখিকা ও প্রযোজক লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। খুশির খবর এটাই, TV9 বাংলাকেই এক্সক্লুসিভভাবে প্রথম সাবিত্রী ও লীনা জানিয়েছেন, ‘সত্যি সাবিত্রী’ বইয়ের পাতা থেকে উঠে এসে পর্দার আকার নেবে। অর্থাৎ, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের এই আত্মজীবনী হয়ে উঠবে বায়োপিক।
সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের বায়োপিক তৈরির কাজ চলছে। TV9 বাংলার প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন খোদ সাবিত্রী। ফোনের ওপারে খোশ গল্প করতে-করতে সাবিত্রী বলেন, “জানেন তো ‘সত্যি সাবিত্রী’ বইটা নিয়ে সিনেমা তৈরি হচ্ছে। আমার বায়োপিক তৈরি হচ্ছে। খুব ভাল লাগছে। আনন্দ হচ্ছে।”
এই খবর পেয়েই TV9 বাংলা যোগাযোগ করে বইয়ের অনুলেখক লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, “আমি আর শৈবাল (পড়ুন শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়), আমরা দু’জনে মিলে ছবি তৈরি করব ‘সত্যি সাবিত্রী’ নিয়ে। তবে এখনই সিনেমা আকারে তৈরি হবে, এটা বলতে চাই না। আমরা ওয়েব সিরিজ়ও তৈরি করতে পারি। সেটা এখনও ঠিক করিনি কী করব। তবে হ্যাঁ, দারুণ কিছু একটা হবে। আমরা চিত্রনাট্য লেখা শুরু করে দিয়েছি। কাকে কোন চরিত্রে কাস্ট করা হবে, সেই পরিকল্পনা এখনও হয়নি। ‘সত্যি সাবিত্রী’ই নাম রাখব কি না সেটাও স্থির করিনি।”