বাবা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তনী। মা সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী। সেখান থেকেই প্রেমের সম্পর্ক পরিচালক-অভিনেতাদ্বয় কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় ও চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়ের। কিছু বছর পর তাঁদের একমাত্র সন্তান পুত্র উজান গঙ্গোপাধ্যায়ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন তাঁর সিনেমায় পদার্পণ। ‘রসগোল্লা’ ছবিতে সকলে উজানকে দেখেন নবীনচন্দ্র দাসের চরিত্রে। যিনি রসগোল্লা আবিষ্কার করেছিলেন। সেই উজান আরও উচ্চশিক্ষা লাভ করতে গত বছর পাড়ি দেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্নাতকোত্তরের বিষয় ছিল বিশ্বসাহিত্য। বাবা-মায়ের আশা পূর্ণ করে দেশে ফিরে এসেছেন উজান। আজ বুধবার (০৭.০৯.২০২২) সন্ধ্যায় উজান জানতে পেরেছেন তাঁর ফলাফল। অক্সফোর্ড থেকে ডিসটিংশন পেয়ে পাশ করেছেন তরুণ প্রজন্মের এই তারকা-সন্তান অভিনেতা।
সুখবর পেয়েই TV9 বাংলা যোগাযোগ করে উজানের সঙ্গে। ফোনের ওপারে উচ্ছ্বসিত উজান বলেন, “আজ বাবা-মা খুবই খুশি। আমারও ভাল লাগছে।”
স্বভাবতই বিনয়ী উজান। গোটা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় জানে তিনি কৃতি ছাত্রদের দলে। অধ্যাপকদের চোখের মণি তিনি। অভিনয় করেন বলে কিছু অধ্যাপক তাঁকে ‘হিরো’ নামেও সম্বোধন করেন ক্যাম্পাসে। বাবা নামী পরিচালক, অভিনতা। মাও তাই। উজানকে বড় করতে অনেক আত্মত্যাগ করেছেন চূর্ণীও। উজান সেই কথা সবসময় স্বীকার করেন। ছেলের সঙ্গে দেখা করতে অক্সফোর্ডে গিয়েছিলেন চূর্ণী-কৌশিক দু’জনেই।
অক্সফোর্ডে পড়তে যাওয়ার আগে বাবার পরিচালনায় প্রথম ‘লক্ষ্মী ছেলে’ ছবিতে অভিনয় করেন উজান। কিছুদিন আগে মুক্তি পেয়েছে সেই ছবি। হলে রমরমিয়ে চলছে এই মুহূর্তে। নিত্য বাহবা পাচ্ছে ‘লক্ষ্মী ছেলে’।