সোশ্যাল মিডিয়ায় কোথাও কোনও আপডেট নেই, নেই আত্মপ্রচার, কোনও ছবি। অথচ মিমির ‘সিক্রেট’ আর গোপনে রইল না। ডিজিটাল দুনিয়ায় বন্দি হল পথচলতি এক নেটিজেনের মুঠোফোনে। ছড়িয়ে গেল নেটপাড়ায়, যা দেখে প্রশংসা না করে পারছেন না আমজনতা।
বড়দিনে যখন পার্কস্ট্রিট মেতে উঠেছে আলোর রোশনাইয়ে তখন গড়িয়াহাটের ব্রিজের নিচের মানুষগুলো হাড়হিম ঠাণ্ডায় জুবুথুবু। চারচাকা থামলে সেখানে। নেমে এলেন এক যুবতী। মুখে তাঁর মাস্ক। হঠাৎ করে দেখলে চেনার জো নেই। একে একে মানুষগুলোর হাতে তুলে দিলেন বড়দিনের কেক, শীতের পোশাক, কম্বল, সোয়েটার। ভিড়ের মধ্যে চিনতে পারলেন কেউ কেউ। চিনেই যেন চমকে উঠলেন– এ তো অভিনেত্রী সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। গাড়ি ছুটল বালিগঞ্জ, কসবা, রাসবিহারী। রাতের কোলকাতায় মিমি হয়ে উঠলেন সিক্রেট সান্টা।
সৌভিক মন্ডল নামক জনৈক নেটিজেন এ ঘটনা নিজে চোখে দেখে ফেসবুকে লিখেছেন, “গিয়েছিলাম তিলোত্তমার আলোকসজ্জায় মোড়া পার্কস্ট্রিট দেখতে। কিন্তু ফেরার সময় পেয়ে গেলাম গড়িয়াহাট মোড়ের কাছে এক সিক্রেট সান্টাকে…”। মহানগরী বুকে নিত্যদিন ঘটে হাজারও ঘটনা। ঘটে মন খারাপের ঘটনাও। তবে এ সব ঘটনা নিত্যদিনের নয়। পার্কস্ট্রিটের হাজার বাতির আলো যেন আচমকাই রাঙিয়ে দিয়ে গেল গড়িয়াহাট ব্রিজের নিচের ওই অন্ধকার জায়গাগুলোকেও, সৌজন্যে মিমি চক্রবর্তী।