বিশ্বকাপ হাতে এসেছে আর্জেন্টিনার। ল্যাতিন অ্যামেরিকার দেশটিতে আজ আনন্দের জোয়ার। গোটা বিশ্বে নীল-সাদা ভক্তরা কেউ কাঁদছেন আবেগে, কেউ আবার উত্তেজনায় কাঁপছেন থরথর করে। অধিনায়ক মেসির চোখে জল, বাকি সতীর্থরা আনন্দে আত্মহারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় আর্জেন্টিনা সমর্থক সেলেবদের মুখেও আজ শুধুই ‘ভামোস’। এমতাবস্থায় ‘দিদি’র কাছে এক বিশেষ আবদার রাখলেন মীরা আফসর আলি। ফেসবুকে পোস্টে তাঁর অনুরোধ, “দিদি কাল প্লিজ সরকারী ছুটি হয়ে যাক, নীল-সাদার দিব্যি”। এ শহর বহু আগেই নীল-সাদায় সেজেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ছিলেন এই নীল-সাদা রঙের কাণ্ডারী। মীরের পোস্টের দিদি কি তবে তিনিই? এই সরকারী ছুটির আবেদনও কি তাঁকে উদ্দেশ্য করেই। তবে তাঁর এই ইচ্ছে যে মঞ্জুর হবে তা হলফ করে বলাই যায়, মীরও কি তবে পদ্য আওড়াবেন, “রোজ কত কি ঘটে যাহা তাহা, এমন কেন সত্যি হয় না আহা?”
৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জিতল আর্জেন্টিনা। প্রথম বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেলেন লিওনেল মেসি। প্রথমার্ধে ২ গোলে এগিয়ে গে্লেও ম্যাচের বয়স যত বেড়েছে তত নাটকীয়তা তত জমেছে। রোলারকোস্টারের মতো কখনও ফ্রান্স, কখনও আর্জেন্টিনা ম্যাচে এগিয়ে গিয়েছে। কিন্তু ট্রাইবেকারে শেষ হাসি হেসেছেন স্কালোনির ছেলেরা। এই জয়ের পর স্বাভাবিকভাবে উল্লসিত মেসিরা। ৩৬ বছর পর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে আর্জেন্টিনার সমর্থকরাও আনন্দিত। চ্যাম্পিয়নরা উচ্ছ্বাসে মাতবেন সেটাই স্বাভাবিক। আনন্দে চোখের জলও বাঁধ মানেনি আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের।
লুসেল স্টেডিয়ামে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন নির্ধারিত হল ট্রাইবেকারে। প্রথম শট নিয়ে গোল করেন এমবাপে। ট্রাইবেকারে আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম গোল করেন মেসিও। কিন্তু এর পর দুটি গোল মিস করে চাপে পড়ে যায় ফ্রান্স। মাথা ঠান্ডা রেখে গোল করে ১৯৮৬ সালের পর বিশ্বকাপ জিতল আর্জেন্টিনা। প্রথম বার বিশ্বকাপ জেতার স্বাদ পেলেন মেসি। ম্যাচ জেতার পরই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন নীল-সাদা ব্রিগেড। সতীর্থদের জড়িয়ে ধরে অভিনন্দন জানাতে থাকেন মেসি, ডিমারিয়া, দিবালারা। গ্যালারিতে ততক্ষণে আর্জেন্টিনা সমর্থকদের মধ্যে উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই উৎসবেই রেশেই আপাতত মজে বিশ্ববাসী…।