দু’টো ছবি। চোখে ব্ল্যাক ফ্রেমের চশমা। পরনে পিঙ্ক রঙের স্লিভলেস টপ। একটি ছবিতে মাথা নিচু করে রয়েছেন সাংসদ অভিনেত্রী। অন্যটিতে একেবারে ক্যামেরা লুক। ফোরগ্রাউন্ড- ব্যাকগ্রাউন্ডে রয়েছে গাছের সবুজ পাতা। নুসরত জাহানের সাম্প্রতিকতম ছবি। ক্যাপশনে নুসরত লেখেন, ‘মানুষের উপর সার ফেলছি… যাতে তারা বড় হয়ে উঠতে পারে…’। মানুষকে উর্বর করার প্রচেষ্টায় উদ্যত হয়েছেন নুসরত। ছবির কমেন্টে একজন মহিলা লেখেন, ‘তুমি গ্লো করছো’। উত্তরে নুসরত লেখেন, ‘হেহে, ধন্যবাদ’।
নুসরতের মা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই নিখিল জৈন জানিয়েছিলেন সন্তানের বাবা তিনি নন। অন্য দিকে, নুসরত দিন কয়েক আগে এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন নিখিলের সঙ্গে তুরস্কতে যে ‘বিয়ে’ হয়েছিল তাঁর তা ভারতে ‘বৈধ’ নয় কারণ আইনত তাঁদের বিয়ে হয়নি। তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, জন-প্রতিনিধি হিসেবে লোকসভার বায়োপ্রোফাইলে তাহলে ‘বিবাহিত’ এবং স্বামীর নামের জায়গায় নিখিল জৈনের উল্লেখ করলেন কেন? সংসদ ভবনে ‘আমি নুসরত জাহান রুহি জৈন’ বলে সাংসদ হিসাবে নুসরত জাহানের শপথবাক্য পাঠের যে মুহূর্তের ভিডিয়ো টুইটে শেয়ার করেছেন বিজেপির অমিত মালব্য, তাতে আরও জোরদার হয়েছে এই প্রশ্ন: জন-প্রতিনিধি হিসেবে নুসরত তাঁর ম্যারিটাল স্টেটাস সম্পর্কে যে তথ্য পেশ করেছেন, তা আদৌ নীতিগত বলে বিবেচিত হতে পারে কি না।
অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে নুসরতের বিশেষ সম্পর্কের কারণেই নাকি নিখিলের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্যে ভাঙন ধরে, এ জল্পনাও বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়। যদিও তা নিয়ে মুখ খোলেননি নুসরত। এমনকি তাঁর সন্তানের বাবা কে, তা নিয়েও কাউকে কৈফিয়ৎ দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেননি। বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁকে নিয়ে বিতর্ক যত জটিল হয়েছে ইনস্টায় একের পর ইঙ্গিতবাহী পোস্ট করে চলেছেন নুসরত। এ দিনও তার ব্যতিক্রম হল না।
আরও পড়ুন Yash Dasgupta and Nusrat Jahan: “…আপনি কিছুই জানেন না’ লিখলেন যশ, সহমত প্রকাশ নুসরতের